আমার সম্পর্কে

আমার ফটো
Bangladesh
M.A. in English Literature under National University. My Home District in Comilla.

রবিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১২

মুক্তি মালেক

এই যে চুল-দাঁড়ি পেকে যাওয়া লোকটি দেখছেন,
বড্ড সাহসী,
কাঁধে রাইফেল নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন গ্রামের পর গ্রাম
মাঝ রাতে অস্ত্রের ধাওয়া থেকে বাঁচিয়েছেন আমার দাদাকে।

দুরন্ত-দূর্বার, ছুটে চলে অবিরাম, মাঠ-ঘাট প্রান্তর,
পিছনে তাকানোর সময় নেই, শুধুই বিপদ,
রক্ত গরম ঠেকাতে ভারতে গিয়ে প্রশিক্ষন নিয়েছেন যুদ্ধের,
ফিরে এসে বাঁচিয়েছেন হাজারো প্রান, অবলার সম্ভ্রব।
সাহসী পদক্ষেপে যুদ্ধ করেছেন পাকী বর্বরদের বিরুদ্ধে।
হজ্ব করতে গিয়ে যেমন শয়তানকে কংকর নিক্ষেপ করা হয়,
তেমনি অস্ত্রের কংকর নিক্ষেপ করেছেন পাকীদের বিরুদ্ধে।
এখন তিনি বৃদ্ধ, হয়তো প্রহরে প্রহরে মৃত্যুর গন্ধ পাচ্ছেন,
তার কামান সম হাত আজ আর কলম ধরতে পারে না।

শিক্ষকতা ছেড়ে দিয়েছেন অনেক আগেই,
তাঁর নাম আব্দুল মালেক,
দেশ স্বাধীন হ্ওয়ার পর নাম হয়েছে মুক্তি মালেক,
তিনি শুধু আমার গ্রামেরই না,
সারা দেশের গর্ব, সারা দেশের অহংকার।

সোমবার, ১২ নভেম্বর, ২০১২

ভাবনাহীন কল্পনা

কবি : মো: ইয়াকুব আলী
 
আমিতো বিজ্ঞানের কিছুই জানিনা,
কি লিখবো আজ।
দুই মিনিট ভাবি তো তিন মিনিট ঝিমাই।
সব চেয়ে বড় কথা হলো,
আমাদের দেশে তো বিজ্ঞানের বলার মত কিছুই নাই।
তাহলে আমার চিন্তা শক্তি এর মধ্যে হাটু গেরে বসবে কেমন করে।
কত কিছুইতো হতে হতে হলো না,
এখন দেখা যাক ”বঙ্গবন্ধু-১” হয় কি না,
নাকি এইটাও ফাঁকি দেয়।
এই ফাঁকির দেশে বিজ্ঞানও ফাঁকি খায়,
আর আমরা তো সাধারন মানুষ,
ফাঁকির মধ্য দিয়েই যাতায়াত।
তবে আমাদের দেশে যে কয়জন বিজ্ঞানী আছেন,
তাঁরা যদি এই ফাঁকিটাকে কিভাবে বিজ্ঞানে কাজে লাগানো যায়,
সে চেষ্টা করতো,
তবে মনে হয়,
ফাঁকিবাজি ‍অনেকাংশে বৈজ্ঞানীক রূপ লাভ করত।
যা হতো পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম।
বিজ্ঞান হচ্ছে এক ধরনের জ্ঞান, আর
মনের মধ্যে কিঞ্চিত আল্পনা হচ্ছে কল্পনা।
সেই সুবাদে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী হলো,
কল্পনার জগতে বিজ্ঞানকে নিয়ে লীলাখেলাই হলো বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী।

রবিবার, ১১ নভেম্বর, ২০১২

এক টুকরো চাওয়া

তুমি আমায় এত ভালবাস!
অথচ আমি আজো তোমার একটু ভালবাসা পেলাম না,
তুমি সত্যিই রহস্যময়ী।

আমার নয়ন দুটি এগিয়েছে বার বার,
ছুতে চেয়েছে তোমার চাহনীকে,
নিতে চেয়েছে মায়া পরশ,
কিন্তু তুমি ফিরিয়ে দিলে বার বার,
কি আজব কারবার!
এত ভালবাস!
অথচ আমি দেখতেই পেলাম না,
তোমার চোখের পাতায় আগুন ঝরছে, নাকি বৃষ্টি ঝরছে।

তবে কি, মুখের বুলিতেই তোমার এত ভালবাসা?
তুমি পারও বটে,
শত মাইল দূরের অজানা স্মৃতি,
তবু মনে হয় কত কাছে, কত আপন,
চাঁদের হাসিটি অধরাই রয়ে গেল,
থেমে গেল রহস্যময়ী নারীর ভেসে আসা আর্তচিৎকার।

বুধবার, ৭ নভেম্বর, ২০১২

মনের কথন

সে আমায় বারন করে না যেতে ঐ সুরের টানে,
সে সদাই লেপন করে কালিমা তার দেহের বানে,
সে তো আর জানেনা ঐ সুর যে আমার কত আপন,
জানিলে করবে না আর সুরের কাছে যেতে বারন।

সুরেতে মন মজিয়ে ঘর ছাড়িলাম সেই যে কবে,
কত যে কটু কথার ভাগি হলাম সুরের ভবে,
তবু সেই সুর যে আমায় যায় না ছেড়ে এক প্রহরও,
পারি না ছাড়তে আমি সে যে আপন এই আমারও।

পাগলের পাগলামিটা দিনে দিনে যাচ্ছে বেড়ে,
পাগলে আর কত কাল থাকবে পথে স্বজন ছেড়ে,
একেতো সুরের পাগল সুরের মাঝেই সুখের বাড়ি,
সুরেতেই খুঁজবো স্বজন আপনার স্বজন ছাড়ি।

রবিবার, ৭ অক্টোবর, ২০১২

ভেলু ফুফু

পাশের বাড়ির ভেলু ফুফু বয়স ষাটের কাছে
চলন বলন সরল সোজা সব মানুষের কাছে।
দিন অবধি কাজ করে সে নেইকো দেহের টান
সবার কাজেই দেয় সাড়া সে ‍ভুলে নিজের মান।
কখনো কেউ বকা দিলে ফেল ফেলিয়ে হাসে
বলতে শুনি, ”বকা দিছে আমায় ভালবেসে”।
নিজের ঘরে রান্না নেই তো পাশের বাড়িত গিয়ে
খাবার দাবার খেয়ে আসে কাজের বিনিময়ে।
সব মানুষই আপন তাহার মানুষও তাই ভাবে
ভাল মন্দ যে যাই করুক তাকে দিয়েই খাবে।
সরল মনের মনটাতে তার নেইকো ভাবের লেশ
পরের উপকারেই তাহার জীবন করছে শেষ।
ভেলু ফুফুর ভালবাসায় নেইকো ছলের রস
এই কারনে সবাই তারে মানিয়াছে বশ।
এমন সরল এই জগতে দেখিইনাকো আজ
বেঁচে থাকুক সবার মাঝে হয়ে মাথার তাজ।

বুধবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১২

হাপিত্যেশ


আলোর মাঝে আধার আমি তোমার চলার পথে
নাই বা যদি ভাল লাগে থেকো না মোর সাথে।
চাঁদের আলোয় ঘেরা তোমার ভাবি জীবন তাই
গুটিয়ে নিলাম নিজের চাওয়া তোমার ভালোর লাই।
সুখে থোকো ময়না পাখি ঐ সে দুরের গায়
ক্ষমা যদি না দেও আমায় থাকবো যন্ত্রনায়।
অনেক দিনের সাধ ছিল মোর দেখবো নয়ন ভরে
সেটাকেও দিলাম ‍ছুটি তোমার সুখের তরে।
জানিনা আর কতটা দিন ভাবের হবে মিল
কতটা আর দু:খ পেলে রংটা হবে নীল।

সোমবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১২

যখন

যখন,
দখিণা পবনে মন
খুঁজে ফিরে তোমার সন,

তখন,
শ্রাবন গগন মেঘ
ডেকে বলে এইতো শোন।

তোর কারনে মেঘ হয়েছে,
রিমঝিম ঝিম সুর তুলেছি,
তোর সুখেরই জন্যে আমি
বৃষ্টি রূপে তাল তুলেছি।

যখন,
ফুল বাগানে গিয়ে মন,
ভ্রমর সেঁজে করে পন।
তখন,
ফুল এলিয়ে বলে শোন
তোর জন্যইতো গড়ছি বন।

যখন,
নদীর তীরে ছুটে যাই
নদী বলে শোনরে ভাই
আঁকাবাঁকা আমার পথ,
তোর প্রিয়ার তুলনা নাই।

বলে,
যৌবন আমার রঙ্গে রসে
পূর্ন থাকে আষার মাসে,
মরা খালেও ভাসি আমি,
চৈত্র মাসে পূর্ন ঘাসে।

যখন,
পাখির কাছে গিয়ে বলি,
পাখিরে মোর মনের কলি,
গা না একটা গান।

তখন,
পাখি বলে অ-বড় ভাই,
তোমায় একটা কথা শুধাই,
গান শুনিতে চাইলে তুমি
শোন গিয়ে প্রেমের শানাই।

রবিবার, ২৬ আগস্ট, ২০১২

অতৃপ্ত শরীর


যত চাও নিয়ে যাও দিয়ে যাও ভরা প্রান
কোলাহলে অনায়াসে ফিরে এসো অবিরাম্।
ছায়া পথে মায়া করে হায়াটাকে মারে ঢুঁ
টুপটাপ ঝরা জলে মিশে আছে কি মধু?
ফিরে ফিরে আসে তরী নড়ে চড়ে ডান বাম
তবু তরী ছাড়ে নাকো মায়া মাখা ধরাধাম।
উবু হয়ে মনে মনে তৃষা খুঁজে যে আদম
সে কি আজ ফিরে যাবে খালি হাতে নরাধম।
যে দেহের ঝলকানি উঁচু নিচু বন্ধুর
সে কি করে সমতায় পাবে তৃষা সুমধুর।
আধারী বা আলো মাঝে যে নারীর দেহ ভাজে
অবিচল খেলা চলে অনুরাগ, অনুভবে
তবু যারে ছুঁয়ে যায় না পাওয়ার বেদনা
সে আমার দুখী বোন লালায়িত ললনা।

বৃহস্পতিবার, ২৬ জুলাই, ২০১২

তিক্ত আলো

চার দেয়ালের দিনটা আমার আধো আলো আধো ছায়া
ঠেকে গেছে দিনের আলো বন্দি যেন এক বেহায়া।
তফাৎ বুঝার তড়িৎ গতি ততক্ষনে বিনাশ হল
আমার আমি আমার মতই হাতরিয়ে যাই দিনের আলো।
মাথার উপর তারার মেলা জোনাক জুড়ে শুধুই বাযে
কি এমন এক অচিন আশায় কাটাচ্ছি দিন দেয়াল মাঝে।
হা-এর পরে হুতাশ আমায় হতাশ করে দিন অবধি
মুক্ত হবার ইচ্ছা আমার মুক্তি দিবে কোন দরদি।
কালের ঘাটে অকাল বাধা সু-কাল আমার অনেক দুরে
আমিও তাই অবলীলায় দ্বন্দ্বে বিভোর চতুর ধাবে।
এই রোযাতে যদি আমায় মুক্ত করে প্রাণ বিধাতা
আমি তারে করবো খুশি যদিও চায় আমার মাথা। 

রবিবার, ২০ মে, ২০১২

চাঁদ রুপসী

চাঁদের বুড়ি মুচকি হাসে ঐ যে দূরের গায়
বন-বাদারে ইচ্ছা করে আলোয় মিশে যাই
রূপযে তাহার অনেকখানি
নয় সে তবু অভিমানি
দিল খোলে সে দেয় বিলিয়ে রূপের পুরুটাই
সে যে রূপের বুড়ি তাই
তাহার রূপের অন্ত নাই।

চাঁদের আলো জলের উপর রূপার খনি মেলে
দেয় বলে সে দেখবে না কেউ অন্য কোথাও গেলে
এই রূপেতে বিশ্ব মাতে
প্রেম সোহাগে গভীর রাতে
চরনখানি দেয় ধুয়ে সে আপন মহিমায়
সেযে রূপের বুড়ি তাই
তাহার রূপের অন্ত নাই।

টিনের চালে ঝিকিমিকি করে চাঁদের আলো
এক পলকেই প্রান কেড়ে নেই দেখবে যদি চলো
যার যা খুশি যাই নিয়ে যাই
হিস্যা দেবার নেই কো বালাই
রূপের টানে যাই হারিয়ে কোন সে অজানায়
সেযে রূপের বুড়ি তাই
তাহার রূপের অন্ত নাই।

বুধবার, ৯ মে, ২০১২

অপেক্ষা

জলতরঙ্গের ঢেউ খেলে যায় ঐ যে দুরের গায়
কবি আমায় দেয় না দেখা আবছা নিরালায়।
হঠাৎ করে ছাউনি ঘরে কবির আগমন
তরতরিয়ে গিয়েও আমি পেলাম না তার মন।
কবি আমায় দেয় না দেখা ঠুনকো অযুহাত
কোলের বালিশ যাই ভিজিয়ে ঘুমের সারা রাত।
আবছা আমার মনের বাড়ি কতেক প্রহর বাস
ধীরে লয়ে উঠছে বেড়ে মনের দুর্বাঘাস।
কবি আমার সাধের মানব স্বপ্নে পাওয়া ধন
অপলকে থাকবো চেয়ে কবির আগমন।

মঙ্গলবার, ৮ মে, ২০১২

মায়া ভরা চাহনি

যদিও বা আমি নই যে তোমার
তুমি যে আমারই হও,
আমারই হৃদয়ে ভাসিয়ে দিয়েছ
রুপ সাগরের নাও।

আমি যে পাগল কত কিছু করি
সবই যে তোমারই জন্য,
কি কারন বল এত কিছু হায়
তবুও যে আমি ধন্য।

যে মায়ার ডোরে বেধেছি হৃদয়
তাহা যে তোমারই দান,
তোমারই চোখেতে তাকিয়ে আমি যে
টিকিয়ে রেখেছি প্রান।

যে চোখের টানে সারা দিন ভর
ঘুরি আমি পথে পথে,
কি মায়া-তার কি আগুন ঝরে
কি শোভা চাহনীতে।

আপেলের মত চোখ দুটো তার
তীরের বেগেতে ছুটে,
যায় নিয়ে যায় আমারই হৃদয়
হেরিয়া নয়ন টুটে।

চাহনিতে তার কবে যে আবার
মুক্তার ছলাছল,
ছুটিয়া সে যায় দুর বহু দুর
নেই তার কোলাহল।

সে আমার প্রিয়া কাড়িয়াছে হিয়া
চাহনির মায়া জালে,
স্বপনেতে তাই চলিয়া যে যাই
চাহনির ধরা তলে।

এত মায়া তার চাহনীতে আমি
দেখি নাই আর কারো,
চেয়ে চেয়ে শুধু টানি আমি তার
চাহনির মায়া আরো।

প্রিয়া কি জানে কি মায়ায় রাখে
আমাকে বাধিয়া আজ,
আমি শুধু জানি চাহনিতে তার
কতযে মধুর সাজ।

আমি চেয়ে রই অবলার মত
তার মায়া চোখ পানে,
জানিনা সে চোখ কি এমন রাগে
তুলিয়াছে সুর গানে।

শনিবার, ৫ মে, ২০১২

বর্ষা বাদল দিন

আউলা সুরে গান গেয়ে যাই কদম গাছের তল
টুপটুপাইয়া বৃষ্টি পড়ে
আকাশ থেকে তরে তরে
হাত উচিয়ে এবার সবাই সমস্বরে বল
মেঘ আয়রে আয়.....................
চইলা গেল নয়া ভাবি কাপড় না ভিজায়।

আষাঢ় আসিয়া আমার ভিজালো যে হিয়া
করবো গোসল বৃষ্টি জলে
ছোট বড় সবাই মিলে
ঝাক বাধিয়া করবো গোসল খোলা মাঠে আয়
বল আয়রে আয়.......................
করবো গোসল বৃষ্টি জলে সবাই মিলে আয়।

ডাকছে আকাশ গুড়ুম গুড়ুম কাঁপছে আমার বুক
যাইরে চলে ঘরের ভিতর
খাইবো রে বোট কডর মডর
অনেক মজা খাইতে তোরা সবাই মিলে আয়
খেতে আয়রে আয়........................
বোট এনেছে নয়া ভাবি জলদি করে আয়।

সোমবার, ১৬ এপ্রিল, ২০১২

অফিস টাইম

চারিদিকে সমাগম, করে শুধু গমগম,
কখনো বা নির্জন,
একলা একা লাগে জম ।

ডেস্কটপেতে সারাদিন, শোধ করি নিজ ঋন,
কখনো বা অবসর,
কাজ ছাড়া কাটে দিন।

অবসরে চ্যাটিংয়ে, না হয় একটু ব্লগিংয়ে
কখনো বা আড্ডা,
ফাঁকে ফাঁকে মিটিংয়ে।

পাশে থাকা বসরা, দেয নানা খসড়া
দৌড় ঝাপ সাথে থাকে
কাগজের পশরা।

লাঞ্চ করে দুপুরে, চলে যাই উপরে,
ঘুম লাগে চোখে তাই,
চিল্লা চিল্লি সজোরে।

সন্ধ্যায় কাজ শেষে, বাসা যাই হেসে হেসে,
জ্যামে, ঘামে হয়রানি,
তারপর ঘুমের দেশে।

শনিবার, ৩১ মার্চ, ২০১২

আধুনিক বাটপার

যুক্তিটা যায় না, তবু যেন একবার
দাড়ায়েছে আনকোরা এ যুগের বাটপার।
ঘুরে ফিরে রাজপথ, টকশোতে দিন পার
ছায়াতলে থেকে থেকে হয়ে গেছে বাটপার।

বুলি যেন বুলি নয়, যেন রস গোল্লা
জয় করে জনতার দিল, মন, কল্লা।
এরা সব চাটুকার, স্বীকৃত বাটপার
মরা লাশ জেতা করে, কি আজব কারবার।

কোট-টাই পরে দেখি, সারা দিন ঘুরে তারা
মনে হয় ভদ্দর, আসলেতো আনকোরা।
এরা সব শয়তান, মানুষেতে মিশে তাই
যারে তারে ভাদা করে, মন করে ছিনতাই।

নর-নারী এই কাজে মিলে মিশে একাকার
ভাল না খারাপ সেটা দেখে শুনে বুঝা ভার। 
এরা সব বাটপার, আসলেই বাটপার
চোখ কান খোলা রেখে থাক সব হুশিয়ার।

মঙ্গলবার, ২৭ মার্চ, ২০১২

ঠুনকো সাহস

চুরি করে বিয়ে করা মস্ত বড় পাপ
যারা এমন করে তারা পায় না কভু মাফ।
বিয়ে সাধী করা ভাল সর্ব জনে কয়
কতকজনে বিয়ে ছাড়াই জীবন করে জয়।
আবেগ দিয়ে বিবেকটারে চেপে করে খুন
প্রেম লীলা যে বড় লীলা ইহাই তাহার গুন।
প্রেম পিরীতি জানিনা কি, কেমন তাহার রুপ
শুধু জানি মনের মাজে জ্বলে তাজা ধূপ।
কবে আমি করবো বিয়া পাত্রী পাওয়াই দায়
রাস্তা ঘাটে প্রচুর আছে, ঘরে নিবার নাই।

ধান্ধা আমার চুরি করার, কেমনে হবে তা
সাহসে যে হাটু কাপে, দাওয়াই দিয়ে যা।
মেয়েরাতো লক্ষি অতি, ছাড়তে চায় না ঘর
এই কথাটির পক্ষে যারা তাদের দিবো চড় ।

বৃহস্পতিবার, ২২ মার্চ, ২০১২

একটি গান (ত্যাগ)

গেল গেল সবই গেল
গেল গেল সবই গেল
গেল সবই বাবার ধন,
ছাড়িলাম ছাড়িলাম বাড়ি
ছাড়িলামরে আপন জন।

আমি একজন দিন ভিখারী
সারা দিনই ঘুরি ফিরি,
হাওয়াকেই তাই সঙ্গি করি
হাওয়াতেই মজেছি মন,
ছাড়িলাম ছাড়িলাম বাড়ি
ছাড়িলামরে আপন জন।

শুকনো দেহের শুকনো ডালা
দিনে দিনে হচ্ছে নালা,
সময় আমায় দেয় না তালা
অকালেই করি সৃজন,
ছাড়িলাম ছাড়িলাম বাড়ি
ছাড়িলামরে আপন জন।

এখন আমি পথের হাওয়া
ঘরে বাইরে আসা যাওয়া,
ছাড়িলাম সব দেহের মায়া
একা আমার নিজ ভুবন,
ছাড়িলাম ছাড়িলাম বাড়ি
ছাড়িলামরে আপন জন।

রবিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

উচ্ছৃঙ্খল মানবতা।

খুনি হওয়ার ইচ্ছা আমার, নেই কোন ভয় আমার মনে.
ক্ষমা পাওয়ার কায়দা এখন জানা আছে জনে জনে।
রাষ্ট্রপতির দয়ার শরীর খুন করিতে নেইকো মানা
খুন করিব, গুম করিব, কি আনন্দ তা না না না। 
ক্ষমা আমি পাবই পাব, মৃত্যুদন্ড সবই মিছে
সব ক্ষমতার মালিক আমি, ঘুরবে সবাই আমার পিছে।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি পতিই বটে সব জনতার
চিন্তা আমার খোলস ছেড়ে খুনের দিকেই ছুটছে এবার।

শনিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

প্রতিকার চাই

আবার শুরু গলা ব্যাথা, ভাল্লাগে না ভাই
ওষধ খেয়েও হচ্ছে না লাভ, কি আছে উপায়।
গলা আমার পঁচিশ দিনই ব্যাথাতে মশগুল
এ জন্য ভাই সব কাজেতেই হচ্ছে যে ভন্ডুল।
গলা ব্যাথায় কষ্ট সে কি, কি আর বলব ভাই
ডাক্তার, হেকিম সবার কাছে এর প্রতিকার চাই।
কথা বলা, খাওয়া-দাওয়া সব কিছুতেই বাধ
উপায়ান্তর নাই যে আমার হাসি দেওয়ার সাধ।
দিনের বেলায় যেমন তেমন, ব্যাথা বাড়ে রাতে
নাই যে কোন উপায় এখন আমার অবোধ হাতে।
আর পারি না সইতে আমি, ওভাই বড় ভাই
পরামর্শ যে যা দিবেন, নিব আমি তাই।

মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

আহ্ববান।

একুশের ভাষা একুশেই রয়,
নামজাদা কিছু পা-চাটা কুকুর ভাষাকে করেছে ক্ষয়।
অযথাই তারে, যে যেমন করে, করিছে ব্যবহার,
ধরিত্রির বুকে এ ভাষাই আজি খুলেছে মনের দ্বার।
এ ধরার মাঝে, যে ভাষা বাজে, কর্নের গহীনে,
সে ভাষাই আজ মরিতে বসেছে শকুনের দাবানে।
পাতিয়া যে বুক, আনিয়াছে সুখ, কি দিলেম প্রতিদান,
মানুষের রূপি গোরা শয়তান, না দিলও সম্মান।
এসো বাঙ্গালী, বাংলাদেশি, এসো জনতার দল,
মায়ের ভাষাকে, আপন করিয়া, কথা বলি অবিরল।

রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

মায়া বসন্ত

এই বসন্তে,
যে পাখি মেঘের আড়াল দিয়ে উড়ে যায় দূর-বহুদূর
সে কি জানে?
এই মায়াবী বসন্ত তার ডানা ছুঁয়ে যায় অবিরাম।
নীল আকাশে ভেসে যায় সাদা মেঘের ভেলা।
যেন মনে হয়,
বা হাত দিয়ে ওড়না উড়িয়ে চলে যায় কোন রূপসী।
যে মেঘের ভাঁজে লুকিয়ে আছে কবির অনুরাগ
সে মায়ার টানে,
কবি আজ পথে নেমেছে মেঘ ছোঁয়ার কল্পনায়।
কৃষ্ঞচূড়ার রক্তিম আভা পথে পথে মাখে রূপ,
যেন বলে সে,
ওগো কবি তুমি দেখো মোর উচ্ছল আনন্দ
আমি আজ সেজেছি আমার রূপ লাবন্য দিয়ে,
প্রকৃতির সৌন্দর্যকে আরো সুন্দর করতে আমি এসেছি আবার,
হে কবি তুমি দেখ চেয়ে,
কি সুন্দর সাজ আজ এ ধরায়.

রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

বসন্ত জাগ্রত দ্বারে

বসন্ত আমার শয়নে আমাকে জাগায়
কোকিলের মায়া তান ভেসে যায় অজানায়।
সুরে সুরে জাগে প্রান উড়ে চুল বাতাসে
কিশোরীর কাঁচা গায় দোল দেয় আবেশে।
গাদা ফুল চুলে দোল খেয়ে যায় সারা দিন
তারপর---
তারপর খাওয়া-দাওয়া, চটপটি, ঝালমুড়ি
সিঙ্গারা, টকদই, চকলেট, মায়াবড়ি
হা হা হা হা কি খাওয়ালে সারাক্ষন
বসন্ত জেগে থাক এ ধরায় আজীবন।
দিন শেষে মিযা ভাই গাদা ফুল একগাদা
বাড়ি এনে দেখে তার বউ সেজে আছে রাধা।
কি কপাল মিয়া ভাইর, দেখ দেখ কান্ড
সারা দিন কিশোরীতে,
মজে ছিল বেহায়াতে,
রাতে আবার বউ তার হয়ে গেল ভান্ড।
হা হা হা হা কি খারাপ মিয়া ভাই
বসন্ত এলে তার ভালবাসা বেড়ে যায়।

সোমবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০১২

মরার মিছিল


ফুটুস ফাটুস মরছে মানুষ গোলন্দাজের গুলি খেয়ে
এই দেশেতে আজীবনই মরবে আরো হোচট খেয়ে।
নিয়ম নীতি ভরকে গেছে আলুর বস্তা এই জনতা
আছাড় খাবে রোজই তারা চলছে এটার প্রবনতা।
আজকে মরে দুর্ঘটনায় কালকে মহা গেন্জামে
পরশু দেখো গুম করা লাশ পরে আছে ডান বামে।
মৃত্যু এখন হাতের মোয়া চাইলে তারে ছোঁয়া যায়
অহরহ মরছে মানুষ চিপা খোলা সব জা‘গায়।
দেশে কি ভাই জনগনের কদর গেলো অযথাই?
না কি তারা নিজেই নিজের কদরটাকে দেয় ধোলাই?
মান ইজ্জতের ধার ধারেনা, এই দেশেতে এমন লোক
লুটে পুটে খাচ্ছে যেন অন্ধ হলো জাতির চোখ।
জাত মেরেছে এই জাতিটার হায়রে অবোধ বাঙ্গালী
মায়ের নামে ছাফাই গেয়ে মাকেই দিলি শেষ কালি।
মরছে মানুষ চতুর্দিকে বাঁচার কোন রাস্তা নাই
দাফন কিবা চিতার আগেই প‍ঁচা লাশের গন্ধ পাই।
গুনী লোকও যাচ্ছে মরে হচ্ছে ফাঁকা বাংলাদেশ
সব মানুষের চির সাথী হলো যেন দু:খ ক্লেশ।

মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০১২

মাঝ রাতের অভিমান


আই লাভ ইউ জরিনা
তোরে আমি ভুলবা না।
বিয়া করুম বৈশাখে
বাসর করুম শেষ রাতে।
বাচ্চা দিবি এক জোড়া
ঘরে কিংবা ঘর ছাড়া।
পোষ মানাবি তোর মত
টাকা দিব চাস যত।
আমি দিব সব যোগান
চাইলে দিব নিজের জান।

ঐ জরিনা কোথায় যাস
একই সাথে করব বাস।
তুই কি আবার করলি রাগ
খাটের দিমু অর্ধ ভাগ।
আয় জরিনা ফিরে আয়
এত রাতে যাস কোথায়।
আরে জ্বালা! কথা শোন
লক্ষি আমার একটু শোন।
করুম না যা তোরে বিয়া
বুঝিস না তুই আমার হিয়া।
কিইবা এমন বললাম আমি
আমি না তোর হবু স্বামী।
বুঝিস না কেন্ তুই আমারে
ঘর বাঁধিবি কেমন করে।

ওরে এত রাগ কেন তোর
এমন করে হবে যে ভোর।
রাগটা ভাঙ্গা জলদি করে
ঠান্ডা লাগবে আয়রে ঘরে।
না হয় আমি গেলাম চলে
তুই থাক একা আমায় ভুলে।