আমার সম্পর্কে

আমার ফটো
Bangladesh
M.A. in English Literature under National University. My Home District in Comilla.

মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১১

আমন্ত্রন

কত দিন পর এলে ফিরে,
আমাদের এই ছোট্ট নীড়ে,
আর দেব না যেতে আমি,
নীড় ছাড়িয়া বহু দুরে।

আমার নীড়ে আমিই রাজা,
দেব তোমায় অনেক মজা,
পিড়ি পেতে বসবে তুমি
খেতে দিবো মিষ্টি খাজা।

আর যেও না ছেড়ে তুমি,
এই ঘরেতে থাকবে তুমি,
তোমায় জন্য রাখছি দেখ
একটু খানি সবুজ ভূমি।

সবুজ মাটি ছুয়ে দেখো,
এমন মায়া পাবে নাকো,
কোমল পরশ পাবে তুমি
সারা জীবন হেথায় থাকো।

বুধবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১১

অবসান চাই

আমাদের এক মন্ত্রী আছে প্রধানতার ভাব
প্রধান সে নয়, তিনি একটা আস্ত পচাঁ ডাব।
বিরোধীতে নেত্রী যিনি, একটা পচাঁ ডিম
জলের উপর তাইতো দেখো ভাসছে তাদের টিম।
এছাড়া যে ছোট খাট পিচকা লেজের দল
সব গুলোতেই ছন্নছাড়া দল হারানো কল।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে তারাই রাজা প্রজা
তারাই একে অন্যকে দেয় নানা রকম সাজা।
তাদরে জ্বালায় তিক্ত আজ এই বাংলাদেশের প্রাণ
আল্লাহ তুমি রক্ষা কর বাংলাদেশের মান।
আমরা যারা আমজনতা ধনের বালাই নাই
ঘরে বাইরে সব জাগাতেই গলা ধাক্কা খাই।
এই দেশেতে পচাঁ মালের চাইছি অবসান
আয় জনতা দলে দলে, বাঁচা দেশের মান।

শুক্রবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১১

বাবুর বিড়াল

রেল গাড়িতে গুপ্তধন
পুলিশ ধরার করছে পন
তাড়াতাড়ি বাজা হর্ন
চলে গেল গুপ্তধন।

চোর-পুলিশে যমজ ভাই
পড়লে ধরা ক্ষতি নাই
রেলের ভিতর চালক নাই
চোর সেজেছে চালক তাই।

বগির ভিতর আস্তানা
ধন আনিতে নেই মানা
পুলিশরা সব রাতকানা
চোরেরা তাই দেয় হানা।

আসলে কেউ জানেনা
রেলের ভিতর কোনজনা
কোন খানে তার ঠিকানা
'বাবু' বলেন ছাড়বোনা।

কালো ধলো সব বিড়াল
গুপ্ত থাকার নেই কপাল
ধরা খাবেই আজ বা কাল
বাবু ধরছে রেলের হাল।

শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১১

উড়ন্ত স্বদেশ

শঙ্খচিলের ডানায় ভেসে যাচ্ছে উড়ে দেশ
এই জগতে এমন দেশের হবে নাকো শেষ।
উড়ে উড়ে সুদূর দুরে যাচ্ছে বহুদূর
মাছরাঙ্গারা ছুটছে পিছে একই সুরাসুর।
ভযের চোটে কাঁপছে স্বদেশ, কাঁপছে জগদ্দল
শেয়াল গুলো গর্তে ঢুকে কাঁপছে অবিরল।
বাঘেরা সব গর্জে উঠে গভীর অরন্যে
ভয়ে তাদের কাঁপছে হাটু সত্য কথনে।
ভাসছে স্বদেশ আকাশ-পাতাল
সব ছাড়িয়া তুচ্ছ মাতাল,
উদীয়মান স্বদেশে আজ অন্ধকারের ঢেউ,
মুক্ত ভাবে চিন্তা করার স্বদেশে নাই কেউ।

সোমবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১১

রূপ সাগরের মাঝি

নারী জাতি শাড়ি পড়ে রূপের তুলে ঢেউ
রূপ সাগরের মাঝি আমি পার হবে কি কেউ?
বৈঠা আমার ছোট্ট অতি জলের উপর বাস
সারা জীবন দোল খেলিয়া হচ্ছে সর্বনাশ।

নারীর প্রতি ভক্তি আমার ভগবতের গীত
তবু আমি রূপের টানে হচ্ছি বিপরীত।
যাই ডুবে যাই হটাৎ আমি রূপের কারিশমায়
বৈঠা আমায় নেয় বাচিঁয়ে আমার সীমানায়।

পূর্নিমাতে চাঁদের আলো ছিঁচকা চোরের মত
একটু বাড়ায় একটু আবার মেঘের কাছে নত।
তারচে ভাল মাঝি আমি রূপ সাগরে থাকি
শাড়ি দিয়ে নারীর দেহে রূপের ছবি আঁকি।

শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১১

কুৎসিত মন

আমার মন চালানোই বড় দায়
তার উপরে তিনটা মেয়ে মনের ঘরে জাত মারায়।
জাতের নারী অজাত রূপে অচীন ঘরে আসছে তাই
চিন পরিচয় জেনে আমি সংগ দেবার ডাক পাঠাই।

আমার রঙ্গ হলো সাড়া
ডাকের দেবী ঘুমাচ্ছে আজ ডাক পাঠাবে কারা।
আমার আবেগ গেল অবলাতে বিবেক গেল মারা
আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে করছে নাড়াচাড়া।

দোষ কি শুধুই আমার?
একটা মানুষ তিনটা ধরার সাধ্য আছে কার?
দেখো অবনতি হচ্ছে আজি আমার অবস্থার
একটা নিয়ে ভাব করে যে সেইতো চমৎকার।

মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১১

নেত্রী যুগল

আমার দেশের নেত্রীদ্বয়কে কঠিন রোগে ধরেছে
এই কারনে দেশটা আজি জটিল ফাঁদে পড়েছে।
রোগ সারানোর ওষুধ খুঁজে পাচ্ছে না কেউ এই ধরায়
হেকিম গুনি সব জনতা তাদের জ্বালায় পাগল প্রায়।
খুন-সুটিতে মাতেন তারা যখন থাকেন সংসদে
রাত বিরাতে নাটাই চালে বসে নিজের মসনদে।
খেলার ছলে বুলি ছোড়েন গুলির চেয়ে পাওয়ারী
এক বুলিতে লন্ড ভন্ড অর্থ-সম্পদ ঘর বাড়ি।

রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১১

তর্কাবুল(তর্ক+আবুল)

দেশে দুইটা বলদ আছে আবুল আবুল নাম
বোকার মত হাসে তারা গাধার মত কাম।
একটা আবুল কথা বলে কার্টুন কার্টূন ভাব
আরেক আবুল হেসেই চলে ফেলে দেশের লাভ।
দুই আবুলে মাসতুত ভাই চুরির কাজে বেশ
নিজের ভাল বুঝতে গিয়ে দেশকে করে শেষ।
স্বার্থ বুঝে একটা আবুল অন্যটারে কয়
"হেতার লাগি পকেট ফাঁকা পথতো হবেই ক্ষয়।"
জবাব দিতে তেড়ে এসে ঐ আবুলে কয়
"বলদটাতো বুঝেনা তাই আবোল তাবোল কয়।"
আমি তারে ষোলআনাই দিলাম অনেক আগে
ভাগের টাকা কম পাবে তাই আমার উপর রাগে।
এই করিয়া দুই আবুলে তর্ক অবিরাম
দেশের মানুষ বসছে খুলে হাসির নয়া খাম।

শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১১

লোভ-লালসা

আমার কাছে মধু আছে, আয় জনতা দলেদলে
লেপটে দেবো হাতের তালুই, সাধ মিটাবি সর্বকালে।
এমন মধু এই দুনিয়ায় আর পাবিনা কারো কাছে
সাধের বাটি রাখতে চাইলে ঘুরতে হবে আমার পিছে।

আমার যাদু এমন যাদু টিপ মারাতেই মধু পড়ে
আয় জনতা, আমজনতা, কামজনতা, আমার ঘরে।
সুবাস পাবি মধুর সাথে মিষ্টি তারা সর্বেসর্বা
আগে এলে আগে পাবি আয়রে সকল তরুন যুবা।

আয় যাযাবর গেয়ো মজুর লাইনে দাড়া একে একে
মতামতের ধার ধারিনা,একটু শুধু দেখরে চেখে।
আয় জমিদার লুটেরা সব হাত দুখানা করে খালি
তোদেরকেও বিলিয়ে দেবো মধুর বাটি হালি হালি।

কুটুম হবি আমার বাড়ি, আমি হলাম জাতের নারী
যখন তখন আমার কাছে, মধু পাবি হাড়ি হাড়ি।
মধু খেয়ে যাওয়ার পথে আমায় দিবি একটু ছোঁয়া
তাতেই আমার সাত জনমের অকুল পাথার হবে পাওয়া।

শুক্রবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১১

পরিনতি

কিইবা আছে আমার কাছে দেশ জনতার রুদ্ধ শ্বাসে
অতিষ্ঠ প্রায় আমজনতা রোষানলের দু-কুল ঘেষে।
মূল্যবান এই কোটি প্রাণের অমূল্য সব চিন্তাধারা
কিইবা এখন করার আছে না হয় যদি শুদ্ধ তারা।
আমজনতা আমেই আছে মরার মত বেঁচে থেকে
লেংড়া কিংবা গোপাল ভোগও বিষের জলে যাচ্ছে পেকে।

লেংটি পড়ে সাগর পাড়ি কতদিন আর চলতে পারে
খুলে গেলেই লাজের হিসাব চুকে যাবে সাগর পাড়ে।
জোয়ার ভাটা থাকা ভাল, তাই বলে কি বন্যা এসে
প্রতিবারই কেড়ে নেবে সহায়-পাতি হেসে হেসে।
এই করে আর ক দিন বলো টিকা যাবে জগৎ মাঝে
হাল ধরেছে বেহায় নাবিক, তার হাতে কি এসব সাজে।
নিয়ম নীতির ধার ধারেনা, শুধুই বাজে ইচ্চা তাহার
দমের ডগায় চেপে বসে নিচ্ছেরে প্রাণ আমজনতার।

বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১১

সাক্ষাৎ

আমার প্রানের দাবি মিটাতে আজ আবার এলে ফিরে
আমি থাকবো হেথায় সারা জীবন তোমার পথের নীড়ে।
তুমি আসছো ফিরে, আমার মাঝে, তাতেই আমার সুখ
আমি বয়ে নেবো তোমার পথের সকল ক্লান্তি----দুখ।

এবার বলো কেমন আছো, অনেক দিনের পর
আর যেওনা আমায় ছেড়ে, আমায় করে পড়।
আমি আছি তোমার দোয়ায় অনেক অনেক ভালো
আমার মনে আছো হয়ে জোনাক জোনাক আলো।
সাঝেঁর আলোয় তোমার জন্য রাখছি ফুলের মউ
লক্ষ্মী হয়ে সাঝেঁর মায়ায় সেজো কুসুম বউ।

শনিবার, ৩০ জুলাই, ২০১১

বন্ধু তুমি(নদী আপুকে উৎসর্গ করে)

নদীতে যে ঢেউ আছে ভাই,
সেই ঢেউতে কাটবো সাতার।
ঢেউ আর আমি সংগী হয়ে,
নদীতে ঝড় তুলবো এবার।

নদীর মাঝেই বাচবো আমি,
জলকেলিতে মন ভাসিয়ে।
নদীর বুকেই ঘর বাধিবো
ঢেউয়ের সাথে পাল্লা দিয়ে।

মৎস কন্যা আমার সাথে,
ভেংচি কেটে লোভ ‍দেখাবে।
গভীর রাতে ভেসে ভেসে,
ঘুম পাড়ানির গান শুনাবে।

নদীই আমার সংগ‍ী হবে,
পথিক হয়ে পথ দেখাবে।
সারা জীবন বন্ধু তুমি,
তোমার পা‍শে আমায় পা‍বে।

সোমবার, ২৫ জুলাই, ২০১১

পশ্চিমে হেলেছে দেশ

বাংলাদেশের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে গেছে দুর্নীতি
চলছে ধীরে উন্নতি সব মরে গেছে সুনীতি।
সাপ লুডুতে বান্ধা জীবন অন্ধ সবার চক্ষু তাই
ভাল-মন্দ বিচার করার এই দেশেতে মানুষ নাই।
এই দেশেতে মানু আছে কর্ম যাদের শয়তানি
সুযোগ পেলে তারাই আবার সেজে বসেন রাজ-রানী।
দেখলে তাদের যায়না চিনা মুখুশধারী জানোয়ার
নিজের মত আইন বানিয়ে করছে দেশে অত্যাচার।

খুনের বিচার পায়না মানুষ, খুনীর মুখে হাসির রেশ
খুন করিয়া, খুনের খাতায় নাম লেখানোর দিন যে শেষ।
খুন করিলে মুক্তি মিলে, মুক্তি দাতার দয়ার কায়
মুক্তি দাতা বিড়াল পোষেন, বাঘেরে যে ভয় দেখায়।
টাকার সাথে নীতি ঘুরে, দুর্নীতিটা ফরমালিন
নিজের সাথে অন্যকেও রাখছে তাজা প্রতিদিন।

শুক্রবার, ২২ জুলাই, ২০১১

নিত্য কর্ম

আমার একটা বালের কবিতা, একটা দিনেই শেষ
মাগার অন্য হাজার সব কিছুই টিকে আছে বেশ।
আমি দশ-বারো লাইন লিখতে পারলে কবি বনে যাই
ভাবি বিশাল কিছু হয়ে এবার স্বর্গে হবে ঠাই।
দেখি মিথ্যা এসব ভাবনা আমার উলু বনের ফুল
এখন সামনে দেখি আসছে ধেয়ে দু:খ অপ্রতুল।
আমার পুজি বাট্টা যেটুক, তাহা খুবই নগন্য
এতো কম পুজিতে কেমনে আমি হবো অনন্য।

আমি পড়তে যখন বসি আমার পড়ার টেবিলে
তখন ছন্দ এসে পুলক জাগায় ছোট্ট এই দিলে।
আমার ভাই-বেরাদর সবাই আমায় করে অবিশ্বাস
বলে পড়া-লেখায় ফাকি দিলে খাইবো পড়ে বাশ।
আমার শিষ্টাচারে গলদ আছে, মুক্তি আমার নাই
আমি পাপের দেশের রাজা হয়ে পদ্যে দেব ছাই।

রবিবার, ১৭ জুলাই, ২০১১

দ্বিধাদ্বন্দ্ব

আমার মনের লীলা বুঝলনা কেউ, মাথায় বৃন্দাবন
এখন বৃহস্পতির তলানীতে যাত্রী অবুঝ মন।
আমি দুই নায়েতে পা দিয়েছি বেশি লোভের আশে
আমার একটা নায়ে ধাক্কা মারে অন্য নায়ের পাশে।
কখন ডুববো আমি গভীর জলে
কুলহীনা এই সাগর তলে
একলা মাঝি দুই নায়েতে কেমনে হবো পার?

একটা আমার নিজের গড়া, আপন হাতের রেশ
লেগে আছে সব খানেতে রূপ মাধুর্য্য বেশ।
অন্যটা ঐ দূরের দেশের, চোক্ষে দেখি নাই
শুধু জোড়ের বশে মাজে মাঝে একটু খানি বাই।
এখন এই তরিও আমার মাঝে
জল কেলিতে মন কেড়েছে
কেমন করে ত্যাগ করিব, ভাবছি এখন তাই।

দিন কাটে আজ জল কেলিতে, নৌকা দুটো ঘাটে বেধে
হাসি-খুশি কাটাচ্ছি ঠিক, গোপনে যে মনটা কাঁদে।
মনে আমার সূতার বাধন, ঝুলে থাকে সারাটাক্ষন
বাতাস যেদিক বইতে থাকে, সেদিকটাকেই করে আপন।
হাজার আশার স্বপ্ন আমার
কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে আধাঁর
অন্ধকারে ডুবছি আমি বিকট অন্ধকার
আমার সুখ পাখিটা নাইযে সুখে, শুন্যে বসত তার।

সোমবার, ১১ জুলাই, ২০১১

পার্শ্ব অনুভব

চাকরিজীবী একটি মেয়ে প্রথম দেখায় মন কাড়িল
এ কয় দিনে যা বুঝিলাম, মেয়েটি খুব ঘর গোছালো।
ফেল-ফেলিয়ে তাকিয়ে শুধু তাহার চোখের নজর কাড়ি
কখনো বা ইচ্ছা করে মজার ছলে পাতছি আড়ি।
রূপ যে তাহার খুব যে কাঁচা বলবো না তাও রূপবতী
বলবো শুধু তাকে ভেবেই কাটছে আমার দিন আর রাতি।
চাঁদের বুঝি একটি প্রহর আসলো নেমে মনের বাড়ি
তাইতো আমি উচ্ছলিত, উদ্বেলিত, গুলবাহারি।
ঠোট যে তাহার ধনুক বাঁকা রামধনুটির অট্টহাসি
মায়াবি তার কন্ঠ যেন রাখাল ছেলের পোড়া বাঁশি।
হাত দু'খানার শোভা যেন বাড়িয়ে দিল সোনার কাঁকন
মায়াবি তার নখ গুলিও হৃদয় কাড়ে যখন তখন।
একটু খানি তাকাই যখন সব ভুলে যাই এক নিমিষে
চাঁদটা বুঝি আসলো নেমে বসলো শুধু আমার পাশে।
আমি তাহার রূপ দেখেছি, ঢেউয়ের আগে ছলছলিয়ে
কি যে মায়া ছড়ায়!আমি এক পলকেই যাই হারিয়ে।
এই মেয়েটি এখন আমার বায়ের দিকের একটা আপু
বড় আপু বড়ই র'ল হইলো না রে আমার বাপু।

শনিবার, ৯ জুলাই, ২০১১

চাঁদ-ইয়াকুব

পূর্নিমার চাঁদ ধরার ইচ্ছা সাধ্য আমার নাই
কেমন করে পাবো নাগাল ভেবে না কুল পাই
যে চাঁদ আমায় নিকট থেকে
ইশারাতে শুধু ডাকে
সে চাঁদ আমি কেমন করে বুকে দেব ঠাই
আমার কুলের অন্ত নাই
আমার বাড়ির অন্ত নাই
আমার ঘরের খবর নাই
আমার কিছু বলতে নাই।

আমিযে ঐ চাঁদকে ডাকি চাঁদকি তাহা বুঝে
ঘর ছাড়িয়া যে পথ নিলাম সে পথ চাঁদের খোজে
ফোঁকলা দাঁতে যখন হাসে
তার সাথে এই হৃদয় ভাসে
এই ভাসাতে আমি ভাসি শূন্যে উঠবো তাই
আমার দিল-দড়িয়া নাই
আমার মনের মানুষ নাই
আমার চাঁদের বুড়ি নাই
আমার কিছু বলতে নাই।

পাশাপাশি চাঁদ আর আমি অনেক দিনের ভাব
ফেল-ফেলিয়ে তাকাই ভাবি কি আর হবে লাভ
একাকিত্বে ভালবাসা
বন্দী হলো মনের আশা
ছিন্ন পাতার রূপ ধরে তাই আকাশে বেড়াই
আমার কুলের অন্ত নাই
আমার দিল-দরিয়া নাই
আমার ঘরের খবর নাই
আমার মনের মানুষ নাই।

বুধবার, ৬ জুলাই, ২০১১

আত্মসমালোচনা-২

কেউ আমাকে বোকা বলে কেউ বা বলে বেয়াকুব
কেউ বা আবার আলতো করে বলে আমি চালাক খুব।
কেউ আমাকে ইর্ষা করে ছেচড়া বলে গালি দেয়
কেউ বা আবার পাগল বলে হাসতে হাসতে চলে যায়।
কেউ আমাকে ফাজিল বলে মাথার উপর চড় মারে
কেউ বা আবার মিষ্টি করে দুষ্ট বলে মনকাড়ে।
পোংটা বলে, চিমকা বলে, সরল বলে কতকজন
আমিযে কে, কিই বা চাওয়া, জানে শুধু আমার মন।
সত্য আমি, মুক্ত আমি, দৃঢ় আমার মনোবল
চাইনা আমি আমার মাঝে জেকে বসুক খারাপ ছল।
এই জীবনের লীলা খেলা থাকবে নাকো আজীবন
আর কত কাল থাকবো মেতে এই খেলাতে বলরে মন।
যারা আমায় ভালবাসে, তারাই তো ভাই খারাপ কয়
আমার খারাপ যে না বুঝে সে তো আমার বন্ধু নয়।
আমি পাপী, চরম পাপী, পাপটা আমার অহংকার
পাপের বোঝা মাথায় নিয়েই কাটছে জীবন চমৎকার।
মন্দ গালি মন্দ হয়েই থাকবে ধরায় অবিকল
থাকবো না তো আমিরে ভাই তাকবে আমার কর্মফল।

রবিবার, ৩ জুলাই, ২০১১

উপলব্ধি-২

যদি বলি নস্টালজিয়া, তবে হবে ভুল
যদি বলি সত্য তবে হারাবো সব কূল।
সামনে আমার যে পথ আছে বালুর আস্তরন
হাঁটতে গেলে হোচট খেয়ে হচ্ছি অচেতন।
কল্পনা যা দেখছি আমি কল্প লোকে ভেসে
চেয়ে দেখ অধরাতেই থাকবে অবশেষে।

এ দেশ আমার গর্ব করে বলছি বারেবার
এই দেশেতে জন্মে আমি করছি অহংকার।
রূপ লাবন্যে ভরা এ দেশ ভারী চমৎকার
রূপের গুনে মজে আমি করছি নমস্কার।

ভন্ডামিতে ভরা এদেশ চোরের অভাব নাই
তবু আমি অহংকারের ঝান্ডা বয়ে যাই।
বিচার বুদ্ধি যেটুক তাহা ঠুটু জগন্নাথ
নিজের কাজে নির্বিচারে মারছি পরের জাত।
হুকুম আমায় না পায় ছুতে আমার হুকুমদারি
কে আমাকে ঠেকাবে ভাই এদেশ আমার বাড়ি।

বুকের কাপড় ঘুড়ির লেজের রূপ নিয়েছে আজ
কেন জানি এখন তারা থাকতে চায়না ভাজঁ।
নিচের কাপড় বালির সাথে সন্ধি পেতে তাই
হরেক রকম চিত্র এঁকে যাচ্চে অযথাই।

হকার আছে, ভিক্ষুক আছে পথের মোরে মোরে
টিকে থাকার যুদ্ধে তারা পায়ের সাথে ঘুরে।
তারাও নয় খুব ভাল লোক কিছু মানুষ ছাড়া
স্বার্থের আশায় তারাও ভাই অন্যকে দেয় তাড়া।

সত্য আমি সঠিক পথে চলবো আজীবন
বুকের উপর হাত রাখিয়া এই করিলাম পণ।
এমন মানুষ এই জগতে খুঁজে পাওয়া ভাড়
ওয়াদা কেউ করলেও ভাই পন্ডু হবে তার।

মুখে মুখে আমরা শালা রাজা মন্ত্রী হই
কাজের বেলায় আর ফুটেনা মিষ্টি কথার খই।
এই দেশেতে আইন-কানুনের হাত পা অনেক বেশি
তাইতো আমরা সোনার দেশে সোনার বাংলাদেশি। 

সোমবার, ৬ জুন, ২০১১

অলসতা ও প্রেম

অলস জীবন আমাকে প্রেম করতে প্রলুব্ধ করেছে।
পরীশ্রমী জীবন আমাকে এগিয়ে যাবার পথ দেখিয়েছে।
ছন্নছাড়া জীবন আমাকে ঘর ছাড়তে বাধ্য করেছে।
অভাব আমাকে চুরি করার পথ শিখিয়েছে।

যখন আমি অলস ছিলাম তখন দ্বারে দ্বারে প্রেম খুজেঁছি।
দিনের অধিকাংশ সময় কেটেছে প্রেমের সাগরে নৌকা বেয়ে।
আমি সামনে এগিয়ে গেছি পরিশ্রম করে।
আমি যতই সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য পরিশ্রম করেছি,
ততই সামনের দিকে এগিয়ে গেছি।
একটা সময় আমি আমার ঘর ত্যাগ করেছি।
যখন আমি অনেক দূর চলে গিয়েছি,
তখন আমার কাছে সম্বল বলতে কিছুই ছিল না।
অভাবের তাড়নায় আমি নদী পথেই চুরির ধান্দা করতে বাধ্য হয়েছি।

এই সব কিছুর মূলেই ছিল অলস প্রেম।
এরাই আমাকে আজ পথে নামতে বাধ্য করেছে।
আমি এখন পথের ফকির, পথই আমার ঘর।
অলসতা আমাকে ফকির বানিয়েছে,
তাই কেই অলস থেকো না।

রবিবার, ৫ জুন, ২০১১

আলসে গাধী

থাকি না হয় একটু খানি তাতে কি বা আসে যায়,
স্বাধীনতা পেলাম তাইতো থাকতে আমার ইচ্ছা হয়।
একলা থাকার স্বভাব যে নেই কিই বা উপায় আছে আর,
বকা কয়টা খেয়েও না হয় সময়টাকে করি পার।
স্যারেরা সব নেই বলে তো কাজের বেলায় ফুরুৎ ফারুৎ,
সুর মিলিয়ে চলছে আড্ডা হচ্ছে যেন কথার দুরুদ।
আমি একটু করেছি কাজ আমার ডেস্কে বসে,
স্বাক্ষী আছে অরুন দাদা যাচ্ছেন কোথায় হেসে।
সারাটা দিন কাটিয়ে দিলেন আড্ডা বাজি করে,
আমি একটু বসছি তাতেই রাগে যাচ্ছেন মরে।
শালার নারী জাতি আজীবনই থাকবে এমন গাধী,
দু:খ লাগে তাদের প্রতি যারা করছে তাদের সাদী।

শুক্রবার, ২৭ মে, ২০১১

শপথ

শপথ

শপথ নিলাম এই ভাবিয়া মনে মনে আজ
হাসি খুশি থাকবো আমি
জগত মাঝে বাঁচবো আমি
অধিকারের ঝান্ডা নিয়ে সদাই ভুলে লাজ।
কে যে পাপী, কেই বা ভাল, কে যে আমার সঙ্গী হলো
মন্দে আমার জন্ম হলো
দ্বন্দ্বে কাটছে এই জীবন,
অর্ধ আমি, পূর্ন নহী, পূন্য নহে আমার কাজ।
চাইনা আমি এমন নীতি,
চাইছি আমি সাম্য প্রীতি,
থাকবো নাকো চার দেয়ালে বন্দী হয়ে সকাল-সাঁঝ
করবো আদায় নারীর দাবী দূরে ঠেলে এই সমাজ।

রবিবার, ৮ মে, ২০১১

উপলব্ধি

আমি গাও-গেরামের পোলা,
যতটা খারাপ ঠিক ততটাই ভালা।
আমি দেখেছি অন্য গাছে বেয়ে উঠা স্বর্নলতার দল।
আমি দেখেছি বর্ষার রাতে সাপের ছোবল ।
আমার পূর্ব পুরুষদের কেউ ছিল জমিদার, কেউ ছিল লাঠিয়াল।
কেউ ছিল কুচক্রী, আবার কেউ ছিল গাড়িয়াল।
আমার দৃষ্টি ভঙ্গি যতটা প্রসারিত, ঠিক ততটাই সংকুচিত।
আমার চাওয়া-পাওয়ার ধরন অনেকটা লজ্জাবতী লাজুক লতার মত।
গ্রামের আকাঁ বাঁকা নির্জন পথের সাথে আমার আছে দীর্ঘ দিনের বন্ধুত্ব।
চৈত্রের খড়রোদে মাঠ থেকে এসে পুকুরের ঠান্ডা জলে ঝাপ দেয়ার অভিঙ্গতা।
গ্রামের দেন-দরবারে ছিল আমার সরব উপস্থিতি।
চৈতালী হাওয়ায় ঘুড়ির নাটাই নিয়ে নির্ভার মনে দৌড়ানো ছিল নেশা।
আর আমার বেকারত্ব হচ্ছে এখনকার পেশা।

সুখের পদ্ম

তোমার মনের কারাগারে
বন্দী করে রেখো মোরে।
সার্থক প্রেম হবে আমার
থাকো যদি এই অন্তরে।
থাকবো আমি সারা জীবন
দেখবো ছায়ার সুন্দর ভূবন।
দেখবো আমি আসল মায়া
সুখের পাতার রঙ্গিন ছায়া।
সুখের ঘরে শাখার ছবি
হবো মোরা দুজন কবি।
দুজন মিলে লেখবো ছন্দ
আকঁবো মোরা সুখের পদ্ম।

মঙ্গলবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১১

ইচ্ছে

ছন্নছাড়া জীবন আমার, এখন আমি দেউলিয়া,
ভবঘুরে মনটা আমার, চাইছে হতে আউলিয়া।
আমি কবি সহজ সরল, হইতে পারি সংকুলান,
জন্ম আমার আতুর ঘরে, কর্ম আমার কৃষ্টিবান।
ব্যর্থ শত চাওয়া পাওয়া, সফলতার বালাই নাই,
তবু আমি আর একটা বার, একটু সুযোগ পেতে চাই।
ভয় আমাকে না পায় ছুতে, ক্ষয় আমাকে করছে গ্রাস,
ছোট খাট পাপ গুলো তাই, হচ্ছে আমার গলার ফাঁস।
চন্দ্র আমায় হাত ছানি দেয়, সূর্য্য আমায় নেয় টেনে,
তার আগুনে পুড়ে পুড়ে, হচ্ছিরে ছাই রাত দিনে।

হটাও-৩

আমাদের দুই নেত্রী আছে মহারানী ভাব,
পরের টাকায় পোদ্দারীতে করছে বহুত লাভ।
যখন তখন নিচ্ছে কেড়ে জনগনের ধন,
এমন নেত্রী হটাবো আজ করিয়াছি পন।
কাজের বেলায় ফুরুত-ফারুত কথার বেলায় জোশ,
দেশ দরদী কাজের বেলায় তাই থাকেনা হুশ।
আমলা কর, মামলা কর, হামলা কর শত,
ক্ষমতাতে থাকার বেলায় এটাই তাদের ব্রত।
বিরুধি দর ইস্যু খোঁজে খারাপ কিছুর আশে,
হরতালেতে দেশ ডুবিয়ে চিপায় বসে হাসে।
এই আমাদের নেত্রীদ্বয়ের সরল মনের কাজ,
হটাও তাদের, এটাই দাবি করছি আমি আজ।

ভূগোল

ভূগোল যদিও গোল, তথাপি সে গন্ডগোল।
ভূগোর নিয়েও ঞ্জান, সবই তবু অঞ্জান।
ঋন যদি নাহি চাও, তাহা তারে দিয়ে যাও।
ভুল যদি ভন্ড হয়, গোল হবে গন্ডগোল।
ফুলও কিছু গোল হয়, কিন্তু তা ভূগোল নয়।
যাতে আছে প্রাণী প্রাণ, আছে প্রচুর জীব জান,
আছে তনু, মনু, খান, আছে জল কৃষ্টি বান,
মিলে হল একটি গান, ভূগোল শিখিয়া যান।

একটি গান, সোনালীকে উৎসর্গ করে।

আমাকে ধরেছে নেশায়
আমাকে ধরেছে নেশায়
এখন আমি করব কি, হায়রে
এখন আমি করব কি?
নেশার বাজারে আমি বৈরাগী, মনরে
নেশার বাজারে আমি বৈরাগী।

নিশিতে নেশায় মাতিয়া,
কাঁথা গায়ে মোরা দিয়া।
নিশিতে নেশায় মাতিয়া,
কাঁথা গায়ে মোরা দিয়া।
নেশাতে মজলাম আমি আগুন ধরাইয়া।
এ নেশা দুইজনেতে,
জাগিলো গোপনেতে।
কে আমায় সঙ্গ দিয়ে হবে বিবাগী।
নেশার বাজারে আমি বৈরাগী, মনরে
নেশার বাজারে আমি বৈরাগী।

যে নেশা ধরল আমায়,
সে নেশাই তোমাকে খায়।
যে নেশা ধরল আমায়,
সে নেশাই তোমাকে খায়।
আমি আজ নেশার জ্বরে উঠছি কাঁপিয়া।
তুমি হায় ছলনাতে,
গিয়েছ কোন বনেতে।
আমাকে সঙ্গ দিয়ে হওগো বিবাগী,
নেশার বাজারে আমি বৈরাগী, মনরে
নেশার বাজারে আমি বৈরাগী।

প্রার্থনা-২

জন্ম মাগো তোমার কোলে
তান পুরানের স্নেহে দোলে
দোদুল্যমান সব পৃথিবী
তুমিই সকল মন ভরালে।

শুন্য যেথায় নি:স্ব আসন
বাঁধ মানেনা স্নেহের শাসন
সুর যেখানে অতল গভীর
মায়ের আদর মিষ্টি ভীষন।

ফুল সবারই করে প্রীতি
ফুলে দোলে মনের স্মৃতি
বিশ্ব শাসন অমূল্য সব
শুনতে গিয়ে মায়ের গীতি।

পরম তোমার হাতের ছোঁয়া
তোমার দোয়ায় বিশ্ব ধোয়া
বুলায়ে দাও হাতের পরশ
ফিরিয়ে দাও বিশ্ব মায়া।

মহত্ত্ব মা মৃত্যুহীনা
মৃত্যু হারাম তুমি বিনা
তোমায় নিয়েই কাটুক জীবন
সকল জীবের এই কামনা।

কাটপিছ ভালবাসা

ভালবাসার মূল্য কত বলতে পার ভাই?
জগত মাঝে ভালবাসার সলিড হিসাব চাই।
সত্য মিথ্যা পাশা পাশি সর্ব জনে কয়,
যাচাই করে ক'জন দেখে কোনটা আসল হয়।
ছলনাতে কেউ বা ঠকে আত্মাহুতি দেয়,
কেউ বা আবার ছলনাতে মজা লুটে নেয়।
ভালবাসা কোন জাগাতে বিরাজ করে ভাই?
গবেষনায় নেমে শুধু শুন্য রেজাল্ট পাই।
কে আমাকে বলতে পার কত দামি সে,
নাকি পাত্র ভেদে যখন যেমন মূল্য নিয়েছে।
কোথায় আছে ভালবাসা কোথায় তাহার স্থান,
কোন মনেতে বসত করে একটু বলে যান।
আমার মনে একটু আছে অনেক তাহার গুন,
এটার মাঝেও মাঝে মাঝে আঘাত করে ঘুন।
কৃপন মনে যেটুক আছে খোলা মনে ও তা,
বেশি কিছু পাওয়ার আশায় ঠকছে জনতা।
ভোলা ভালা মনে আমি একটু জানতে চাই,
ভালবাসা আসলে কি, কোথায় তাহার ঠাই?
কেই বা আছে এই জগতে হাত রাখিয়া বুকে
বলতে পারবে সে ভোগে নাই ভালবাসার শোকে।
আমিও যা তুমি ও তা, আমার মাঝেই তুমি,
আমায় ছাড়া তুমি রে ভাই কি বা এমন দামি।
কতই শুনি ভালবাসা ভাললাগার ফল,
ভালবাসার সুযোগ নিয়ে কেউ বা করে ছল ।
একতরফা ভালবাসা নচেৎ মূল্যবান,
প্রেম বিবাগি হওয়ার আগে হওরে আস্থাবান ।
ছেলে মেয়ে সবার কাছে করছি মিনতি,
ডানে বায়ে দেখে শুনে দিও সম্মতি।

অনুরোধ

ছাড় সিগারেট ছাড়
ক্যান্সারেতে পড়ার আগে
বিছানাতে শোয়ার আগে
বুদ্ধিমানের মত সবাই
শুদ্ধ 'হ' এবার
ছাড় সিগারেট ছাড়।

ছাড় সিগারেট ছাড়
তোর বাপে যে স্বপন দেখে
তোকে নিয়ে একে বেকে
সেই স্বপনটা তুই হাসিয়া
করিসনারে বার
ছাড় সিগারেট ছাড়।

ছাড় সিগারেট ছাড়
সভ্য যুগের সভ্য সেজে
অসভ্য কাজ করেরে যে
তার পরানে দু:খ এটে
ঘৃনা করি তার
ছাড় সিগারেট ছাড়।

ছাড় সিগারেট ছাড়
আয়রে ফিরে আমার পথে
সভ্য সাচি হয়ে মেতে
দেখবি বুঝবি শুনবি সবে
হয়ে একাকার
ছাড় সিগারেট ছাড়।

রবিবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০১১

নিরব স্বপ্ন

আমি এক শান্ত বিড়াল ক্ষান্ত মনে,
ক্লান্ত এখন অনুক্ষনে,
শূন্য মনে ক্ষুদ্র আভাস আচ্ছা দিতে
আমি একা বসন্তে তাই বিহঙ্গনে।
পান্থ চেয়ে একা একা ভোর বিহনে
কতক বিহান কাটল একা, কেউ না জানে।
হয়ে আছি নিরন্ন তাই নীল নয়নে।
কতক শিমূল দেখলাম আমি দুই নয়নে।
আজোবধি হয়নি দেখা অন্যের সনে,
আমি তরুন, উনিশেতে পা রাখিনে,
আঠারতে আছি এখন ধ্যানে ঞ্জানে।
হাহাকারের চিহ্ন ভাসে আমার মনে,
কোথায় গেলে পাব যে সুখ কেউ না জানে,
আমি অধম, আমারও নেই তাহা ঞ্জানে,
তাইতো আজি শান্ত আজি ক্ষান্ত মনে।

অবাক কাহিনী

আমি বিখ্যাত কোন কবি নই,
যে প্রেমে ব্যর্থ হয়ে অমর কবিতা লিখব।
আমি এমন কোন উপন্যাসিক নই,
যে প্রেমে ব্যর্থ হয়ে উপন্যাস লিখব।
আমি সাধারন একজন মানুষ,
যে সর্বদাই সুখ খুঁজে প্রকৃতির সুন্দর লীলাভূমে।

আমি নই কোন রচনাকার,
যে ছলনাতে ব্যর্থ হয়ে প্রেমের রচনা লিখব।
আমি শুক্লপক্ষের কোন সমঝদার নই,
যে অনবরত আকাশের পানে তাকিয়ে প্রিয়ার মুখ খানা অংকন করব।
আমি ক্ষুদ্র-অতি নগন্য,
যে সাগরের ঢেউ দেখে মনে আনন্দ সঞ্চার করে।

মঙ্গলবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০১১

ভাঙ্গা মন

যদি একটি যুদ্ধে একাধিক প্রান যেতে পারে।
যদি একাধিক প্রানের বিনিময়ে একটা স্বাধীনতা আসতে পারে।
তবে একটা মনের বিনিময়ে একটা মন আসবে না কেন?

যদি একটি বসন্তের জন্যে একাধিক কৃষ্ণচূড়ার ফুল ফুটতে পারে।
যদি একাধিক ফুল একাধিক নারীর খোপায় শোভা পেতে পারে।
তবে আমার একটা মনে একটা নারী শোভা পাবে না কেন?

যদি একটি গাছে অনেক সংখ্যক কলি আসতে পারে।
যদি অনেক সংখ্যক অলি একটা চাকে মধু সংগ্রহ করতে পারে।
তবে একটা মন কেন তার কাঙ্খিত মনের সাথে আবদ্ধ হতে পারে না?

আমি উত্তর চাই সেই নারীর কাছে
যে আমায় বিতাড়িত করেছে তার মুক্ত ভালবাসা থেকে?

শনিবার, ২২ জানুয়ারী, ২০১১

শপথ

বিদ্রোহ যার তুঙ্গে থাকে
সাফল্য তার মুষ্ঠাঘাত।
রক্ততারি বজ্র সম
স্ফুলিঙ্গে হয় কুপোকাত।
অঙ্গে মোদের শক্তি বাঁধা
শপথ নিয়ে সামনে চল।
বিচূর্ন কর দুর্নীতি সব
পিষ্ট করে পদতল।
বিপদ মোদের নিত্য সঙ্গী
করবোনারে কোন ভয়।
করব আদায় মোদের দাবি
যতক্ষন না আদায় হয়।

শুক্রবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১১

সাধনা

জটিল কাজে জঘন্য ভাব, সরলতায় মিথ্যাচার।
পুন্য কাজে পাপের হাছিল, সত্য শেখায় অত্যাচার।
মধ্যপন্থী ভুক্তভোগী, ভাগ্য দোষে অবিরাম।
জলকে পানি স্থলকে ডাঙ্গা, এটুক বলেই ধরাধাম।
পাপিষ্ট আজ পথ খুঁজছে, বসন্ত যার অস্তাচল।
দ্বাদশ গেল সুপ্ত ধাচে, অবাক শুনে গুপ্ত ছল।
সবাক যখন সরল ভাবুক, নিত্য শুনে প্রবঞ্চন।
স্বপ্ন ধারক দু:খে হাসে, কাঙ্গালীনির অনশন।
রক্ত গেল পাপের তলে, অশ্রু পেল গঙ্গাজল।
দুর্বিষহ যন্ত্রনা আজ, খাচ্ছে কুঁড়ে দ্বাদশ ফল।

বুধবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০১১

বিষাদী মন

আয়েশের এই পূথিবী, যদিরে পায়েশ হত
ক্ষুধাতুর লাখ জনতা, তারে আজ পিশে খেত।
যদিরে হত রুটি, ধরতো পুটি এই জনতা
তারে আজ ভেজে খেত, রুটির সাথে খুব সাধুতা।
তবে কি ডঙ্কা লেগে সব জনতা মন্দা আভায়?
নাকিরে মন্দ ভাগ্যে পতিত সব, তাও ভাবায়।
এটাতো ক্ষুধার জ্বালা, থাকার জ্বালাও অন্যতম
ক'জনইবা পাচ্ছে দেখ, বাসস্থানের জায়গা সম।
স্বামীকে বলছে কতই, স্বামী যে বয়রা পাজি
সে যে সব শুনেও আবার না শুনার ভান করছে রোজই।
তবে কি তালাক দিবে, এই স্বামীকে এই গূহিনী
নাকি সে আস্তাখুড়েঁ থাকবে পড়ে আজীবনই।
এতসব সমস্যাতেও ভাবছে যখন দারুন আশা
তখনও হোচঁট খেয়ে, হারাচ্ছে তার মুখের ভাষা।
চিরতার মতই এবার এই পূথিবী তাহার কাছে
হঠাৎই গেল চলে, সবকে ফেলে নিজের ধাচে।

মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০১১

অভিমত

রাজনীতিদের রচনা
করল আবার ঘোষনা,
নামটি তাহার ইশতেহার
চুক্তি নয় তা চটকদার।

ফর্দা আছে এই নোটে
ভাগ্য বাধা কাম ভোটে,
যোগ্য যদি নাই বা পাও
শেষ ভরসা না ভোট দাও।

কু-কর্ম আর কুত্তাচার
লিপ্ত যে সব জানোয়ার,
জেনে শুনে তাদের আর
যায় না দেয়া শাসন ভার।

অযোগ্যদের চাইনা আর
চাই না কোন দখলদার,
ভূমিদস্যু, সন্ত্রাসবাজ
না-ভোটই তার প্রাপ্য আজ।

শুক্রবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০১১

মিথ্যেরাজা

গনতান্ত্রিক এই দেশেতে রাজনীতি না ফাজনীতি?
অবিরাম চলছে দেখো দেশ ধোলাইয়ের সাজনীতি।
যোগসাজশি আমলারা আজ আমন্ত্রিত অতিথি
আরশোলারা ঘরে বসেই উড়ার মারে দিনপ্রতি।
যষ্টি মধু মুখে নিয়ে যাত্রাভঙ্গ করছে আজ
অযথার্থ যিশু সেজে আজকে তারাই যুবরাজ।
বনাল তারা বনিবনা হবে না আর কোন দিন
ল্যাং মেরে তার ঠ্যাং ভেঙ্গে আজ বানিয়ে দেব অর্থহীন।
রাজ পথে নামবো মোরা রাজ্যসভা আমাদের
হটাও তাদের বনাল যারা বিড়াল মারে সমাজের।

হটাও-১

আলবদর আর রাজাকার
ভেঙ্গে ফেল তাদের ঘাড়,
ভ্রান্ত তাদের চিন্ত্ ধারায়
অমঙ্গল এই দেশ মাতার।

ভন্ড এই সব কুত্তাশালা
দাড়ি মুচে ধর্মওয়ালা,
বেদির আসন পেতে তারা
করছে দেশে অবিচার।

হুজুগে ভাব সুযোগ বাদী
কুযোগে আজ বিত্তআদি,
অদ্যপান্তে পদদলে
বিচার কর সব বেটার।

হটাও

আমার দেশের ধণ পরীদ্বয়,
খাচ্ছে কুঁড়ে দেশ জাতিময়।
তাদের কথায় আমরা আজি,
যাত্রা পালার পুতুল সাজি।
সারাটা ক্ষণ নেচে খেলে,
ভাগ্যে মোদের শূণ্য ঝুলে।
এই পরীদ্বয় এই দেশেতে,
থাকলে পরে দেশ-দেশান্তে,
আমরা হব কাল গ্রহ আর
কুল লক্ষীর ভীন জানোয়ার।
পরী দিয়ে হবে কি আজ,
মোদের আছে বিমান জাহাজ।
পরীর ডানা ভেঙ্গে মোরা,
আনব আবার সুখের ধারা।
আনব মোরা জিনের জাতি,
পূণ্য করতে দেশের খ্যাতি।
পরীর ডানায় ভেসে ভেসে,
ভাসছে স্বদেশ আকাশ ঘেষে।
সেখান থেকে দেশ পাতালে,
আনতে হবে পরী দলে।

শূন্যতা

লামো
কেন তুমি স্বপ্নে আসো, স্বপ্নে ভাসাও দুই নয়ন
আমার যে আর কাটছে না দিন, সইছে না এই প্রানোমন।
হাজার চিন্তা মাথায় আসে, ঘুরে ফিরে সারাক্ষন
এদের মাঝেও হঠাৎ করে ভাসে তোমার দুই নয়ন।
তৃপ্তি হীনা হূদয় আমার, শূন্যে খাঁ খাঁ করছে বুক
লাখো লোকের দাড়ে গিয়েও পাইনি খুঁজে তোমার মুখ।
সকাল কাটে সংগীতে আর দিনটা কাটে অফিসে
রাতটা আমার কাটে শুধু তোমায় ভেবে আফসোসে।

সোনার ছেলে

এই যে তারা দাঁড়িযে আছে আমজনতার কাতারে,
বন্ধু সবার শত্রু নহে সবার থেকে উপরে।
এই তো সেদিন এইখানেতে বৃদ্ধা কজন নারীরে,
হাত ধরিয়া পার করেছে ছেলের মত আদরে।
মনটা আমার ভরে গেল আনন্দে আর উচ্ছলে,
এই না হলে সোনার এ দেশ বলতো কি আর সকলে।
ক'দিন পরে এই ছেলেদের চরিত্র যে কি হল ,
রাস্তা ঘাটে নারীর বুকে হাত ঠেলিয়া ধরছিল।
কেউ বা আবার বুকের কাপড় আলতো করে টানছিল,
কেউ বা আবার জড়িয়ে ধরে বউয়ের আদর করছিল।
এই না হলে সোনার এ দেশ সোনায় ভরা চতুরপাশ,
সোনার সাথেও এই ছেলেদের নিয়মিত বসবাস।

সভ্যতার অসভ্যতা

বাংলা নারীর বাংলা বেশ
এখন শুধুই স্মৃতির লেশ।
চুল কাটিয়া করছে বাল
শুনতে বড়ই বে-মাতাল।
পোশাকটা আজ বড়ই সর্ট
নিজকে ভাবে দারুন হট।
কালো ধলো সব নারী
পার্কে করে কারবারি।
রিক্সা থেকে রেল স্টেশন
সব জাগাতেই হট ফ্যাশন।
থাকলে স্বামী বিদেশে
তিনিই রাজা এই দেশে।
ঠ্যাংযের উপর পা তুলে
নাটাই চালে মন খুলে।
পাশের বাড়ির হুক্কা ভাই
আপাতত সেই জামাই।
তাকে দিয়েই করছে সব
স্বামী শুধু টাকার রব।

অদক্ষতা

 সোনার দেশে সোনাই আছে ১৬ কোটির উপরে,
যত্রতত্র মুতের পানি, পথিক চলে নাক ধরে।
এত সোনা এই দেশেতে পয়দা হইল কার লাগি,
দেশ দরদী কাজের বেলায় বেজার মুখে যায় ভাগি।
রাত-বিরাতে এই সোনারাই সটান হয়ে খায় মাগি,
দিনের বেলায় জাংগি পড়ে দশের কাজে যায় লাগি।
এই সোনারা বড়ই পটু, অনায়াসেই ফাকঁ চিনে,
সুযোগ পেলেই যায় ছুটে যায়, যখন তখন সব খানে।
এমন করেই এই দেশেতে এত সোনার পয়দা লাভ,
সোনার এ দেশ নামেই র'ল, মুতে ভাসলো দেশের ভাব।

মুক্তব্লগ

মুক্তব্লগ, মুক্তমন, মুক্ত চিন্তার এ বাধঁন
মুক্তআশা, মুক্তভাষা, মুক্ত স্বাধীন হোক সাধন।
মুক্তআখি, মুক্তপাখি, মুক্ত সকল নদ-নদী,
মুক্ততুমি, মুক্তআমি, মুক্তনীড়ে ঘর বাধী।
মুক্তআকাশ, মুক্তবাতাস, মুক্তনদীর মোহনা,
মুক্তআলো, মুক্তছায়া, মুক্ততোমার আঙ্গিনা।
মুক্তগোলাপ, মুক্তপ্রলাপ, মুক্তসকল সভ্যতা,
মুক্তআকাঁ, মুক্তলেখা, মুক্তসাড়া কবিতা।

Thikana: মুক্তি চাই

Thikana: মুক্তি চাই: "আমার ধ্যানে ছাই মারিল আমার নয়া বউ, নতুন বলে মাফ করেছি, কুত্তা ডাকল ঘেউ। দরজা খুলে বাইরে দেখি কালো সাড়া দেশ, প্রবল হাওয়ায় দেখলাম আলো, উড়ল বউ..."

মুক্তি চাই

আমার ধ্যানে ছাই মারিল আমার নয়া বউ,
নতুন বলে মাফ করেছি, কুত্তা ডাকল ঘেউ।
দরজা খুলে বাইরে দেখি কালো সাড়া দেশ,
প্রবল হাওয়ায় দেখলাম আলো, উড়ল বউরের কেশ।
চতুর্দিকে চোখ ঘুরালাম, চোর পালালো কই,
বউ বলিল, ধ্যান ভেঙ্গেছি চল এবার শুই।
আহারে! কি মজার ধ্যানে পড়েছিলাম নিজে,
বিয়ে করে হইল জালা এখন করি কি যে।
মেয়ে তো নয়, যেন সে এক নতুন লোহার খাঁচা,
দয়া করে বিপদ থেকে কেউ আমারে বাঁচা।
নতুন বউরের রুদ্ধ শাসন, স্তব্ধ আমার বাক,
আরো জানে কত কি যে, আর বলবো না থাক।
বউতো আমার, সব বলিতে লজ্জা আমার হয়,
অনেক কিছুই ছেড়ে দিলাম, মাইরের আছে ভয়।
দোয়া করবেন, অতি দ্রুত তালাক দিমু তারে,
আগের মত স্বাধীন ভাবে রাত কাটামু ঘরে।