আমার সম্পর্কে

আমার ফটো
Bangladesh
M.A. in English Literature under National University. My Home District in Comilla.

সোমবার, ২০ জুন, ২০১৬

না, আমি ইতিহাস বলতে আসিনি

না, আমি ইতিহাস বলতে আসিনি
বাস্তব উপলব্ধিকে শুধু অনূভব করতে এসেছি।
আমার ক্ষুদ্র মনের সূক্ষ্ম অনুভূতি আজ জানিয়ে দেয়
নারী আমার অহংকার
নারী আমার প্রেরণা
নারী আমার শক্তি
নারী আমার আগমনী গান শোনাবার শ্রেষ্ঠ সাথী।
যে নরের দিনটা শুরু নারীর ছোঁয়ায়
যে নরের রাতটা শুরু নারীর ছোঁয়ায়
যে নরের অমূল্য সব কীর্তি আসে নারীর ছোঁয়ায়
সে নারী আজকে আমার মনের বাগান
সে নারী আজকে আমার

উন্নতি চিবিয়ে খাব

গতানুগতিক জীবনের দীর্ঘ পথে হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত হয়ে একটু ছায়া খুঁজি।
অতঃপর মস্তবড় আকাশের নিচে ছোট্ট একটি গাছ দেখে তার ছায়ায় আশ্রয় নিই।
একটু জিরিয়ে আবার শুরু হয় সেই দীর্ঘ পথের যাত্রা।
আবার হাঁটতে থাকি অজানার উদ্দেশ্যে।
ভাবতে থাকি সঞ্চয়ের সফলতায় উপচে পড়া দেশের উন্নতি।
হঠাৎ থমকে দাঁড়াই।
কে যেন পিছন থেকে এসে জাপটে ধরে বলে, - আর যেও না।
আমি স্তব্ধ হয়ে দাড়িয়ে যাই।
আর শুনতে থাকি, আমার দরিদ্র মাতার আটশো কোটি টাকা লুট হয়ে যাওয়ার করুন খবর।
আমি নির্বাক হয়ে বসে পড়ি।
অশ্রু ছেড়ে দেয়া চোক্ষু যুগল বন্ধ হয়ে আসে।
আমার স্বাভাবিক নিঃশ্বাস ধীরে ধীরে বন্ধ হওয়ার উপক্রম।
মিনিট দশেক পর সাহস নিয়ে উঠে দাঁড়াই।
অশ্রু মুছে মুষ্ঠি বদ্ধ হাতে চিৎকার করে বলি,-
আমার টাকা ফিরিয়ে দে,
নয়তো উন্নতি চিবিয়ে খাব।


১৬ই মার্চ ২০১৬

উন্নত মস্তিষ্ক

একটু দাঁড়া! চলে যাওয়া মানে সমাধান নয়,
চলে যাওয়া মানে একা হওয়া নয়,
চলে যাওয়া মানে নিজেকে ভুল প্রমান করে অন্যের শাষনকে প্রশ্রয় দেয়া।
নিজেকে বোঝ,
মনের অলংকার দিয়ে সাজানো প্রথম প্রপোজ
জীবন্ত থাকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত।
পরে থাক, আমি বলছি না,
দূরে থাক, সেও কাম্য না,
ভুলে থাক, সেটা পারবি না।
তোর ইচ্ছার প্রতিটি পাতা আজ তার নামে জলছাপ দেয়া।
তোর চাওয়ার অফুরন্ত মাধ্যম তার চোখে নিবিষ্ট।
তোর ঘুমের ছায়া সঙ্গী আজ যেই মানুষটি,
সে আর কেউ নয়,
তোরই মত নিস্ফল ভাবনায় কাতর এক ক্ষনজন্মা।
এ এক কাকতালিয় অভিনয়।
ফিরে আয়,
ফিরে আয়,
বাস্তব তোর অপেক্ষায়।

১৮/০৩/২০১৬

আব্রু সহিত লজ্জা

আব্রু সহিত লজ্জা ঢাকার উজ্জল চরিত্র
নয়নের ধারে চলমান লজ্জা কে ঢাকবে
কে দূর করবে আব্রু সহিত চক্ষু লজ্জার অভাব
যে লজ্জা আজ আমাদের জাতীয় সমস্যা।
লজ্জাকে ঢাকার জন্য লজ্জিত হওয়া নয়
লজ্জাকে ঢাকার জন্য বক্তৃতা স্লোগান নয়
লজ্জাকে ঢাকার জন্য লাল বেনারসিও নয়
লজ্জাকে আমাদের মনে ধারন করতে হবে।
তনুদের সম্ভ্রমহানি, হত্যা আমাদের জাতীয় সমস্যা।
আমরা নিজেরা লজ্জিত হই
জাতি লজ্জিত হবে ইনশাআল্লাহ।

২৪- ৩-২০১৬

যে বসন্ত এসেছে

যে বসন্ত এসেছে আজ মনের আঙ্গিনা জুড়ে
সে আমার নিশি রাত, কোমল প্রভাত
সে আমার হলুদ শাড়ি, কোমল দুটি হাত।
সে হাতে মালা গেঁথে খোপাতে জড়াই
আমার বসন্তে বধুর শয্যা ফুল
সে বধুর গান গেয়ে যাই।।
-
যে বসন্ত এসেছে আজ মনের আঙ্গিনা জুড়ে,
সে আমার গাধা ফুল, বেলী ও বকুল,
সে আমার বন্দনা, প্রাণেরই আকুল।
সে প্রাণে দোলা দিতে উল্কা আঁকাই
আমার বসন্তে বধুর শয্যা ফুলে,
সে বধুর গান গেয়ে যাই।।
-
যে বসন্ত এসেছে আজ মনের আঙ্গিনা জুড়ে,
সে আমার গাছের পাতা, মায়াময়তা,
সে আমার নতুন কুড়ি, ছন্দ কথা।
সে কথার রেশ টেনে তোমার ঠোঁটে আলতো ছোঁয়াই,
আমার বসন্তে বধুর শয্যা ফুলে
সে বধুর গান গেয়ে যাই।।
-
১৩ই ফেব্রুয়ারী ২০১৬. টঙ্গী, গাজীপুর।

কাজের ফাঁকে বিনোদন

বড্ড চাপে সারা দিন
অফিস করি বিরামহীন
একটু না পাই শান্তি।
তারপরেও মাঝে মাঝে
দুষ্টু কথার জোয়ার আসে
হেসে কাটাই ক্লান্তি।


কথার রাজা নওয়াজ শরিফ
কথায় কামায় নানান তারিফ
একশো তোলা বুদ্ধি।
জিতে যাবে কথার প্যাঁচে
যতই ধরুন চেপে চুপে
কলার বা চৌহদ্দি।

কেষ্ট নিয়াজ বড্ড পাজি
ডিস্ক ঘুরাতে মহা রাজি
যশোহরের শয়তান।
মধ্য রাতে চশমা চোখে
তিন তরিকার ছবি দেখে
মুশকিল করে আসান।

আরো তিনটা শয়তান আছে
কাউছার বসে আমার পিছে
সানি বসে উপ্রে।
সজিবটা রোজ পাশে বসে
পাকনা কথায় মিনকা হাসে
চালাক একটা, বাপ্রে।

তাদের কিছু দুষ্টু লোকে
গালিব ভাইয়ের নাকে মুখে
একশো করে প্রশ্ন।
বেচারাটার নাই যে উপায়
ঠান্ডা মাথায় সব সয়ে যায়
চরিত্র অনন্য।

এমনই সব বিনোদনে
অফিস করি সারাদিনে
একটু না হই ক্লান্ত।
মনে মনে ভাবতে থাকি
এই বিনোদন চলবে, নাকি
হয়ে যাবে ক্ষান্ত।

২৫-৩-২০১৬

লাল কেরি

লাল কেরিরে লাল কেরি
আসতে না করিস দেরি।
হঠাৎ আসিস কোথ্ থেকে
রেল গাড়িটির ঘোরপাকে।
জংশন তোর কোন খানে
চুপটি মেরে বল কানে।
বলবো না তা বলবো না
কাউকে আমি বলবো না।
দিব্যি দিলাম হাত তুলে
বলতে পারিস মন খুলে।


লাল কেরিরে লাল কেরি
খাইবি নাকি তরকারি।
লাল টমেটোর চচ্চরি
ছোট্ট মাছের ঝুরঝুরি।
আরো আছে লাল গাজর
কেউ দিবে না এক নজর।
ইচ্ছে মত খাইবি তুই
ফ্রিজে রাখা ঠান্ডা দই।

লাল কেরিরে লাল কেরি
পড়বি নাকি হাত ঘড়ি।
চশমা দিব একখানা
বলনা রে তোর আস্তানা।
দেখবো আমি তোর জগৎ
জন্ম, মৃত্যু, হায়াত-মউত।

লাল কেরিরে লাল কেরি
আবার এলি সখ করি।
কেন এলি তুই আবার?
সময় যে নেই আর বাঁচার।

লাল কেরিরে লাল কেরি
তুরাগ নদী পাড় করি,
নিয়ে যাব উত্তরা
হইস না রে তুই মনগরা।
ভূতের আড্ডা হবে শোন
শুনবি দিয়ে প্রাণমন।
ভয় পাবি না একটুও
চোখ যাবে না কোথাও।
আর যদি তোর লাগে ভয়
আমাকে যে বলতে হয়,
কোথায় গড়া আস্তানা
দেখবো শুধু, বলবো না।
দিচ্ছি কথা হাত তুলে
বলতে পারিস মন খুলে।

২২-০৩-২০১৬
টঙ্গী, গাজীপুর।

আমার নিবাস

ছোট্ট একটা বনের ভিতর আমার বসবাস
আমি থাকি একাই থাকি একান্ত নিবাস।
লাল কেরিরা ঘুমায় এখন আমার বিছান তলে
মশারা রোজ ব্যাস্ত থাকে গীত আর গজলে।
সুরেলা সেই গীত-গজলে দর্শক আর নাই
আমিই তাদের ভক্ত শ্রোতা সুরেরই গঙ্গায়।
আমার পাশে ছোট্ট বনে সাপের আনাগোনা
একটু ঘুমাই একটু আবার ভয়েরই আল্পনা।
বিছা আছে, কেঁচো আছে টিকটিকিও বেশ
কুনো ব্যাঙের ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর নিত্য নিরাবেশ।
কুনো ব্যাঙের তবলা বাদন মশার সুরে মিশে
আমাকে রোজ দেয় ভাসিয়ে সুরের আবেশে।
গান পাগলের কষ্ট করে শুনতে হয় না গান
চারপাশের এই নিত্য গানই ব্যাপক অফুরান।


০৬/১১/২০১৫

বোধগম্য

আজ আবার তার সাথে দেখা।
মেইন গেইট দিয়ে মেয়েটি একা
একা ভিতরে ঢুকছে। তখন আমি
লুঙ্গি পড়ে হাটছি আর আগামী
ক্লাসের পড়া দিতে পারব কি না
তাই নিয়ে ভাবছি। বড় আনমনা
ছিলাম। এ অবস্থায় সামনে একটু
তাকালাম। দেখলাম লাজুক দুষ্টু
মেয়েটি আমার দিকে তাকিয়ে টিপ
টিপ করে হাসছে। হাসির টপিক
প্রথমে বুঝতে পারি নি। ঘাটের
দিকে হাটছি। সেও পিছনে রাতের
চিক চিক আলোয় আসছে। পরে
তার নজর ঠাহর করতে পেরে
বুঝলাম সে আমার লুঙ্গি দেখে হাসছে।


24-04-2016

শান্তনা

শামিম চাইছে ফিরি খাইতে কবিরও চায় ফিরি
আমার এখন দেয়ার আছে শুধুই আকিজ বিড়ি।
কিন্তু তারা ভদ্দর লোক বিড়ি নাহি খায়
মে দিবসের সুন্দর একটা টিশার্ট তারা চায়।
আমি একটা ফিরি পাইছি কারে দিমু আগে
কেমনে তাদের দুইজনারে নিয়া আসমু বাগে।
অবশেষে বুদ্ধি দিল শামিম খলিফায়
তারা দুইজন ক্ষান্ত দিব ফিরি কবিতায়।
দুইজনেরে শান্ত করতে লিখিলাম তারে
এখন তারা অনেক খুশি জগত মাঝারে।


৩০ -০৪-২০১৬

বালুর আঘাত

আমার এলোমেলো দাঁড়ানো চুল
যেন, আমি যেন নই অনুকূল।
যেন বাবুই পাখির সদ্য নিয়ে আসা খরকুটো।
বাসা বানাবে, থাকবে ছোট্ট একটা ফুটো।
যাকে আমরা সচরাচর দরজা বলি।
আমাকে জিজ্ঞেস করলে হেসে বলি
বৈশাখী ঝরের তীব্র আঘাতে তারা নাস্তানাবুদ।
তাদের প্রটেক্ট করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা।
সে কি চেষ্টা!
হাত থেকে শুরু করে পাতলা পলিথিন
কোনও কিছুই অবশিষ্ট থাকলো না।
অবশেষে একটা একচালা ঘরে আশ্রয়।
সেখানে কালো মতন বোরখা পড়া এক সুন্দরী মহিলা বসে।
আমি বৃষ্টি থামার অপেক্ষায় পাশের চেয়ারে।
মাথায় আমার বালুর পাহাড়।
কি করার আছে আর।
শেষমেষ বালুই খেল চুলের সৌন্দর্য।


০২-০৪-২০১৬

নারকেল সুন্দরী

নির্জন পুকুর ঘাটে আমি একা
দূরে কয়েকটি বাতির নির্লজ্জ জ্বলন
চৌদ্দটি নারকেল গাছে ঘেরা পুকুর
মাঝখানে ভাসমান সাদা ককসিট
চাঁদের ফুটন্ত আলো ককসিটের পিঠচুলকে দিচ্ছে।
আমি ছিলাম ঘাটের ডানদিকটায়
যেখান থেকে চাঁদ এবং জ্বলন্ত বাতির আলো একসাথে খেলা করে।
তারপর যেতে যেতে যেতে
শুনছিলাম জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়-এর আবৃত্তি।
লম্বা চুল এলিয়ে বসে থাকা রাক্ষসীর গল্প।
যে খেয়েছিল তাকে।
শুনতে শুনতে আমি সামনে তাকালাম।
দেখলাম একটা নারকেল গাছের মাথায় লম্বা চুল
নিচে উন্মুক্ত ঢাসা বক্ষযুগল
যেন ভুটানের সর্বোচ্চ মূর্তির স্ফটিক বক্ষ
আমায় করল নমস্কার
স্বাগত জানাল তার বিশাল সাম্রাজ্যে।
পরিচয় করিয়ে দিল তার পূর্বপুরুষদের।
বিদায়ে বলল, "আবার এসো অমনি দিনে"।
আবার তাকালাম নারকেল গাছের দিকে।
দেখলাম লম্বা চুলওয়ালী নমস্কারের বদলে সমস্ত খেতে চায়।
আমাকে খেতে চায়,
পিষে খেতে চায় আমার সমস্তকিছু।
যেতে যেতে যেতে খেতে চায়
আর টানতে চায় গল্পের সমাপ্তি।


০৩-০৫-২০১৬
আমি হারিয়ে যাবার আগে হারাতে চাই সবার আনন্দে।
আমি ব্যর্থ হওয়ার আগে সবার সফলতা দেখতে চাই।
আমি দুঃখ পাওয়ার আগে সবার সুখ দেখতে চাই।
আমি কান্না করার আগে সবার হাসি দেখতে চাই।

আমি ব্যর্থ হলে হারিয়ে যাব।
আমি ব্যর্থ হলে দুঃখ পাব।
আমি দুঃখ পেলে কান্না করবো।
কিন্তু সবার সফলতা,
সবার সুখ,
সবার হাসিই আমার খোরাক।
আমি হারিয়ে যাবার আগে সবার ভালগুলিই আমাকে হারিয়ে যেতে বাধা দেয়।
আমি কোথায় যাব এই মুখগুলি ছেড়ে।

২০-০৫-২০১৬
তারে ভাবলে কি আর পাব আমি
না এলে সে অন্দরে
(ও সে) ডুব মারিয়া বসে আছে গোপন পথ ধরে।

নানান ভাবে বুঝাতে চাই
নানান কথ্য ভাষে
আসল কথা হয় না বলা আপন সাহসে (আমার আপন সাহসে)
যখনই যাই বলতে তারে জিভের ডগা না নড়ে।


এই ক'টা দিন একলা ভীষন
নিজেই নিজের করছি শাসন
বুঝ মানাতে মনটারে।
বুঝের মানুষ অবুঝ হলাম ভাবছি কেমন করে।
আমার না বলা সেই প্রলাপ আজো
যত্নে আছে মন্তরে।

১৫-০৬-২০১৬