আমার সম্পর্কে

আমার ফটো
Bangladesh
M.A. in English Literature under National University. My Home District in Comilla.

শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৪

ব্যস্ততার অবসান

বয়স বেশি নয়,
শৈশব পেরিয়ে কৈশরে কেবল,
কে জানে এমন ছোবল,
কেড়ে নেবে তার দুরন্তপনা।
স্কুলের মাঠে ছোটাছুটি করা
সবার আপন,
চিকন লিকলিকে ছেলেটি,
আজ আর নেই,
চলে গেছে অসীম অন্ধকারে,
এক টুকরো কাপড়ে,
শুয়ে আছে নিরব নিথরে,
আর আসবে না ফিরে।
মাঠের ব্যাস্ততা সেই আগের মত,
ক্রিকেট, ফুটবল, মারবেল খেলা সব আছে,
শুধু সুমন নেই এসবের ভীড়ে।
২৬.১০.২০১৪

বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৪

অলস কবি


শকুঁনের দৃষ্টিটা দিনদিন দুর্বল হয়ে পড়েছে
সে আর দূর থেকে মৃত পশুর নিথর দেহ দেখতে পায় না।
ঈগলের ধারালো নখ ভোতা হয়েছে প্রায়
খামছে ধরা শিকারটা পিছলে যায় অনায়াসে।
বাজ পাখির ছোবল থেকে বেঁচে যায় মুরগীর বাঁচ্চাগুলো
বেজি গুলো সাড়ি বেধে জনতার কাতারে,
খেতে চায় দুধ, ডিম, পাওরুটি আর ড্রাই কেক,
স্বাভাবিক জীবন থেকে বেড়িয়ে আসা কি একটা অভ্যাস?
কবির খামখেয়ালিপনায় অলস হয়ে পড়েছে খাতা-কলম,
তাদের জড়িয়েছে ধূলারা,
প্রাসাদ গড়ে ঘুমাচ্ছে খুব আরমে,
তাড়িয়ে দেয়া কবির অলস দৃষ্টি তাদের এড়িয়ে চলে।
হাঁটতে হাঁটতে প্রেম করা কবির স্বভাব,
হাঁটতে হাঁটতেই কবিতা রচনা করে প্রিয়ার চোখে,
অলস মেয়েরা এখন আর জুব্বা পড়ে না,
শর্টস, স্কার্টসই তাদের প্রধান উপজীব্য পোশাক,
অলস ছেলেরা তিন মাস পর পর কাপড় ধোয়,
অলসতার দোহাই দিয়ে কাজে মন দেয় না,
শুধু বসে বসে সুন্দরীদের অবলোকন করে,
অলসতা এখানে হার মেনেছে।
কবি আজ অলস,
সে হারিয়েছে তার চিন্তার প্রখরতা,
মনে তার আড়ষ্ট ভাব,
তিন আঙ্গুলে ধরা অস্রটি খসে পরে অলসতায়,
বাম পাশে বসা সুন্দরী কবির দৃষ্টি খায়,
আর ডুবিয়ে দেয় অলসতার বিশাল সাগরে।


২৩ অক্টোবর ২০১৪
ঢাকা

শনিবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৪

রাজঘুম

ঘুমের মাঝেই সুখের বাড়ি, ঘুমই আমার সব,
সকাল,দুপুর,সন্ধা, রাতে করছি অনুভব।
মাঠে,ঘাটে কিংবা বাটে যতক্ষণই রই,
আত্মীয়তার নিবিড় বাঁধন ঘুমের সাথেই রই।
কুরবানিতে গোস্ত কাটায় ব্যস্ত যখন সবে,
তখনও ঘুম হঠাৎ হঠাৎ আমায় এসে ছোবে।
ঘুমটা আমার এত আপন, এত আপন উফ!
রিক্সা, গাড়ী, অফিসেতেও ঘুমে থাকি চুপ।
ঘুমের রানী বিয়ে করে জোড়া হতে চাই,
কেউ কি একটা ঘুমের রানীর সন্ধান দিবেন ভাই।

৮ অক্টোবর ২০১৪

মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

বিবর্ন চিন্তা

প্রবেশ পত্র পেয়েছ,
হুম, পেয়েছি,
রোল নাম্বারটা বলো,
না, রোল নাম্বার নিতে হবে না।
আরে দেও দেও, অত ভয় কিসের,
পাশ ফেল দুনিয়ারই খেলা,
সবাই সব কিছুতে পাশও করে না,
আবার সবাই সব কিছুতে ফেলও করে না।
এই যে দাড় কাক প্রতিদিন সকালে গলা ছেড়ে ডাকে,
তাই বলে কি সে শিল্পী হয়ে যাবে।
রোল নাম্বারটা দেও,
আমার মানি ব্যাগ নাই তো কি হয়েছে,
পকেটতো সব গুলোই আছে,
একটাতে গুজে রেখে দিব।
পাশ ফেল যাই করো, তাতে কি,
মনের শান্তি,
তুমি নেই তো কি হয়েছে,
তোমার রোল নাম্বারটা তো আমার কাছে আছে।
এতেও কি তুমি সুখ খুঁজে পাও না?
কি বিবর্ন চিন্তা তোমার!

১৭.০৯.২০১৪

রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

একলা সময়

আমি যারে বাসলাম ভাল আপন আপন করে,
তারে কেন দুঃখ দিলাম কি এমন দরকারে।
অামি, না পারিলাম বুঝতে তারে তুচ্ছে দিলাম গালি,
তবু, কেন অামায় মান্য করে কিসের আশায় র’লি।

এখন অামি চাইছি তোকে শূন্যে দিলি পারি,
এমন কি তোর তাড়া ছিল যেতেই হলো ছাড়ি।
যাবিই যদি এত দ্রুত মায়ার লাগাম ছেড়ে,
তবে, কেন এত ভালবাসলি, কি এমন দরকারে।

অামার বিছনা-পাতি স্যাতস্যাতে অাজ চোখের জলে রোজ,
টেবিল-চেয়ার শ্যাওলা হলো, বন্ধ রঙ্গিন ভোজ।
এত কিছুর পরও কি তুই আসবি না অার ফিরে,
আমার চিন্তা-চেতন সব কিছুই যে হচ্ছে তোকে ঘিরে।

১৪.০৯.২০১৪

বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৪

ভূত-ভবিষ্যৎ



তোমার বুকে আছড়ে পড়ুক বিজলী রেখা,
শক খাবে রোজ আমার হৃদয়,
দিনে রাতের ঝাপসা আলোয়,
লম্ব-প্রস্থ বাদ যাবে না একটু দেখা।

শরৎ কালের বর্ষা রাতে জমবে খেলা,
ঝুম বরষায় স্তব্ধ শহর,
আমরা দু’জন রাত নিশাচর,
রিদম তুলে বৈঠা ঠেলে চলবে ভেলা।

তাক লাগানো সুঠাম দেহের ঝলমলানি,
সৌর্য়ে-বীর্যে ঋষ্ট-পুষ্ট,
দমে দমে হবো তুষ্ট,
কোমল দেহের সরল নালায় জমবে পানি।

ভাবনা গুলো মিষ্টি যত,
কাছে পাবার আর্তি তত,
তপস্যাতে মগ্ন আমি ছুঁইবার আশে।
মন আকাশের রংধনুটা,
দিচ্ছে মেঘে রংয়ের ছটা,
আজ বা কি কাল আসবে ঠিকই আমার দেশে।

তখন আমি থাকবো না আর দৃষ্টি কুলে,
বন্ধ হবে সদর দুয়ার,
বাড়বে মনে প্রেমের জোয়ার,
যুদ্ধ হবে জগৎ ভুলে হেলে দুলে।

২৫.০৮.২০১৪

শুক্রবার, ২২ আগস্ট, ২০১৪

অবহেলিত লিংক রোড


রোজ বিকেলে সাক্ষী এক জোড়া চোখ,
ভ্যাপসা গরমের সাথে যোগ হয় ইঞ্জিন আর নি:শ্বাস,
দেহের সাথে দেহের উষ্ণ আলিঙ্গন গরমকে আরো বাড়িয়ে দেয়,
ঠাসাঠাসি করে ভিতরে ঢুকেই রাজ্য জয়,
তাতে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় তিন জোড়া ট্রাফিক পুলিশ,
ভাব দেখে মনে হয় যেন এই লাইন তাদের সৎ ছেলে,
সবাইকে তিন বেলা আর তাকে এক বেলা।
কিছুতেই ছাড়তে চায় না তারা,
সামনের লাইন ক্লিয়ার, তবে বাধা কোথায়?
অনেক পরে যদি ছাড়েও তবে হাতে গোনা কয়েকটা,
আবার বন্ধ, আবার বেড়ে চলে উদ্বেগ, উৎকন্ঠা,
কখন ছাড়বে গাড়ি, কখন ফিরবে সবাই,
ঘামের পরে ঘাম,
একেক জনের শরীর যেন কৃত্রিম ছোট ঝর্ণা।



২৩.০৮.২০১৪

সোমবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৪

মিষ্টি কলিগ



হাটছে রোজ চতুর্পাশ সাতে পাচঁ দিন,
দেখছি তার ডাগর চোখ ডর-ভয় হীন,
সারাদিন যায়, বস ফাঁকি খায়,
চোখাচোখি চলে হরদম,
ভাষা খুঁজেছি, আমি বুঝেছি,
এর বেশি পেতে সাধ কম,
সে আমার মিষ্টি কলিগ,
তার লাজুক মাখা দু’কদম।


ঠোটে হাসি খুব তার ভাল ট্রেডমার্ক,
খোচা থেকে দূরে থাকি হাসি টুকু থাক,
এমনিতে রোজ তার নেই শুধু খোঁজ,
বাড়াবাড়ি হলে হবে যম,
ঝোপ বুঝে তাই, তার চোখ পানে চাই,
ধরা খেলে কপালেতে বোম,
সে আমার মি্ষ্টি কলিগ,
তার লাজুক মাখা দু’কদম।

সারাদিন খুব কম কথা তার মুখে,
টুকটাক যাই হয় চোখে চোখ রেখে,
বুদ্ধিতে গুড, তাই ধরে থাকে মুড,
কিছুতেই নয় সে অধম,
কত নানা ছলে তাকে কত কিছু বলে,
তবু সে পায় না শরম,
সে আমার মিষ্টি কলিগ,
তার লাজুক মাখা দু’কদম।

১৮.০৮.২০১৪

রবিবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৪

ব্যাস্ত স্ংসার



উড়াল সড়কের নিচে তাদের ব্যাস্ত সংসার
ছোট্ট শিশুটি মায়ের বুকে দাপাদাপি করছে
খঞ্জনি হাতে বাবার সারা দিন রাত পার
ব্যাস্ত সড়কের দুই পাশে গাড়ি গুলো ছুটছে।
খোলা আকাশটাই যেন তাদের বিশাল ছাউনী
সাথে একটি কুকুর আর দুটি ছাগল ছানা
চিন্তার বলি রেখা আজো তাদের স্পর্শ করেনি
এ সব কিছুই তাদের বেঁচে থাকার প্রেরনা।
কালো আর লাল পিপড়ারা পায়ের সাথে ঘুরে
যেন বলে বেড়ায় আজ উভয়ের একই মর্যাদা
ফেলে দেয়া খাবার গুলোই আসে দু’জনের ঘরে
গাড়ির কালো ধোঁয়া তাদের উষ্ণ  পরিধা।
মশক বাহিনীর উৎপাত চলে সারা দিন রাত
স্যাৎস্যাতে কাঁথা গুলো ছারপোকার শান্ত নিবাস
জটলা চুলে উঁকুনের নিবাসে চলে নখের আঘাত
তবুও তারা একে-অন্যের, এক সাথে বসবাস।

১৬.০৮.২০১৪